ইন্দোর: রঞ্জিতে একেবারে আগুনে মেজাজে টিম বেঙ্গল (Bengal Team)। লক্ষ্মীরতন শুক্লার ছেলেরা যেন তাঁর মতোই ‘আওয়াজ’ করে মাঠে খেলছে। মধ্যপ্রদেশের ডেরায় আকাশদীপদের মস্তানি। বঙ্গ ক্রিকেটারদের হুঙ্কারে রীতিমতো কুপোকাত রঞ্জি চ্যাম্পিয়নরা। গত বার রঞ্জির সেমিফাইনালে (Ranji Trophy Semifinal) মধ্যপ্রদেশের কাছেই লড়াই থেমে গিয়েছিল ঈশ্বরনদের। এ বার যেন তারই বদলা নিচ্ছেন মনোজ-অনুষ্টুপরা। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও মধ্যপ্রদেশকে সাইডলাইনের বাইরে ঠেলে দিল বাংলা। রঞ্জির ফাইনালের দোরগোড়ায় টিম বেঙ্গল। শেষ কয়েক বছরে দুর্ধর্ষ পারফরমেন্স করেছে বাংলার ক্রিকেটাররা। তবে কাপ আর ঠোঁটের মাঝে ফারাক থেকে গিয়েছে। বঙ্গব্রিগেড অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বারে অনেক কঠোন মনোভাব দেখিয়ে চলেছে। তাই অতিরিক্ত উচ্ছ্বাসে গা ভাসাতে নারাজ মনোজরা। ম্যাচের বিস্তারিত TV9 Bangla-য়।
রঞ্জির তিনটে দিনই বাংলার ঝুলিতে থাকল। প্রথম দু’দিন ব্যাটিং দাপট দেখিয়েছিলেন অনুষ্টুপ, সুদীপরা। তৃতীয় দিনে বল হাতে আগুন ঝরালেন আকাশদীপ। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩৮ রানে। মধ্যপ্রদেশের প্রথম ইনিংস শেষ ১৭০ রানে। সংরাশ জৈন একা লড়লেন। শেষ দিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেন শুভম শর্মা। যশ দুবে ছাড়া বাকি ব্যাটাররা দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতেই ব্যর্থ। কেকেআরের অলরাউন্ডার ভেঙ্কটেশ আইয়ারও বাংলার বোলারদের সামনে থিতু হতে পারলেন না। ফিরলেন মাত্র ৭ রানে।
বল হাতে ৫ উইকেট নেন আকাশদীপ। সংরাশ জৈন লড়াই চালালেও আকাশদীপের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান। সপ্তম উইকেট জুটিতে ওঠে সর্বোচ্চ ৫৪ রান। শাহবাজ আহমেদ নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মুকেশ কুমার আর ঈশান পোড়েল। ২৬৮ রানে এগিয়ে থেকেও মধ্যপ্রদেশকে ফলো অন করায়নি বাংলা। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, সময় যত গড়াচ্ছে পিচ ততটাই ভাঙছে। এ ছাড়া বোলারদের বিশ্রাম দিয়ে বড় রানের লিডও করে রাখতে চেয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে রঞ্জি ফাইনালের পথ প্রশস্ত করে ফেলেছেন মনোজরা। মধ্যপ্রদেশকে উড়িয়ে এ বার ফাইনালের আগে আত্মবিশ্বাস কয়েকগুণ বাড়িয়ে রাখতে চান অনুষ্টুপরা।