IPL 2025, KKR: কেকেআরের পাকাপাকি ‘ইমপ্যাক্ট’ প্লেয়ার হয়ে উঠছেন রঘুবংশী!

Mar 28, 2025 | 2:25 AM

IPL 2025, RR vs KKR: ভারতীয় ক্রিকেটে যে ভাবে উত্থান হয়েছিল, জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। তবে আইপিএলে নিয়মিতই সুযোগ পাচ্ছিলেন। মেগা অকশনে দল না পেলেও শার্দূল কিন্তু সুযোগ পেয়েছেন, ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন।

IPL 2025, KKR: কেকেআরের পাকাপাকি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হয়ে উঠছেন রঘুবংশী!
Image Credit source: PTI FILE

Follow Us

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ অনেক নতুন তারার জন্ম দেয়। তেমনই অনেক হারিয়ে যাওয়া, হেরে যাওয়া ক্রিকেটারকেও আরও একটা সুযোগ দেয়। শার্দূল ঠাকুরের কথাই ধরা যাক। আইপিএলের মেগা অকশনের আগে তিনি কি ভেবেছিলেন কেউ তাঁকে নেবে না? শার্দূল নিজেও কি এমনটা ভেবেছিলেন? হয়তো না। ভারতীয় ক্রিকেটে যে ভাবে উত্থান হয়েছিল, জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। তবে আইপিএলে নিয়মিতই সুযোগ পাচ্ছিলেন। মেগা অকশনে দল না পেলেও শার্দূল কিন্তু সুযোগ পেয়েছেন, ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন।

অনেক তরুণ ক্রিকেটারও কিন্তু ওয়ান সিজন ওয়ান্ডার হয়ে হারিয়ে যান। খুব কম জনই থাকেন, যাঁরা মাটিতে পা রেখে প্রতিনিয়ত উন্নতির চেষ্টা করেন। যে টিমে সুযোগ পান, যতটুকু সুযোগ পান, ছাপ রাখার চেষ্টা করেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সে এমন উদাহরণ বেশ কিছু রয়েছে। রিঙ্কু সিং তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। কিংবা হর্ষিত রানা? বরুণ চক্রবর্তী।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ধারাবাহিক ভালো খেলেই কিন্তু জাতীয় দলের দরজা খুলেছিল তাদের জন্য। রিঙ্কু-হর্ষিত নিয়মিত হয়ে উঠেছেন। আর বরুণ! তিন বছরের বিরতিতে কামব্যাক করেছিলেন। তারপর থেকে আরও ধার বেড়েছে। এই তালিকায় কি নাম লেখাতে পারবেন অংক্রিশ রঘুবংশী?

বছর তিনেক আগের কথা। ২০২২ সালে ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। শুধু তাই নয়, টুর্নামেন্টে ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে রান ছিল তারই। এরপর! ভারত এ দলের হয়েও সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু সেই অর্থে ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর পরিচিতি গড়ে ওঠেনি। গত মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে নেয়। বলা ভালো, অভিষেক নায়ার তাঁকে সুযোগ দেন। এটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়।

বর্তমানে জাতীয় দলে গম্ভীরের সহকারী অভিষেক নায়ার। মুম্বইয়ের এই ক্রিকেটারের কাছেই নিজেকে ঘষে মেজে তুলেছেন রঘুবংশী। দিল্লির ছেলে হলেও ক্রিকেটের টানে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বই। আর গত মরসুমে নাইট রাইডার্সে সুযোগটাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে এখনও অবধি। নিয়মিত যে সুযোগ পেয়েছিলেন তা নয়। তবে যেটুকু পেয়েছেন, ছাপ ফেলেছেন। এ মরসুমেও তাই।

গত মরসুমে ১০ ম্যাচে ৭ ইনিংস সুযোগ পেয়েছিলেন। করেছিলেন ১৬৩ রান। এর মধ্যে একটি হাফসেঞ্চুরিও রয়েছে। স্ট্রাইক রেট ১৫৫-র বেশি। একজন তরুণ ব্যাটারের থেকে যেটুকু প্রত্যাশা রেখেছে কেকেআর, এখনও অবধি তা পূরণ করেছেন রঘুবংশী। এ মরসুমে দু-ম্যাচেই তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সীমিত সুযোগে করেছেন ৫২ রান। ক্রমশ যেন কেকেআরের ‘ইমপ্যাক্ট’ প্লেয়ার হয়ে উঠেছেন। এখানে ইমপ্যাক্ট বলতে কিন্তু পরিবর্ত নয়, বরং ছাপ ফেলা ক্রিকেটার।