কলকাতা : ঘরের মাঠে ম্য়াচ। অথচ ব্য়াকফুটে বাংলা। কখনও বাংলাকে বোলাররা ম্যাচে রাখছেন, কখনও ব্যাটিং। টিম গেম এখনও অবধি দেখা যায়নি। কল্যাণীতে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্য়াকাডেমিতে বোলাররা দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ব্য়াটিং ডোবাল বাংলাকে। রঞ্জিতে এ মরসুমে প্রথম দু ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলেছে বাংলা। তবে সেই ম্যাচ দুটি হয়েছে ইডেন গার্ডেন্সে। বৃহস্পতিবার ইডেনে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্য়াচ থাকায় বরোদার বিরুদ্ধে বাংলার ম্যাচ হচ্ছে কল্য়াণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। এই ম্যাচের আগে দুটি করে হোম-অ্যাওয়ে ম্য়াচ খেলেছে বাংলা। প্রথম চার ম্যাচে বাংলার সংগ্রহ ১৯ পয়েন্ট। বরোদার বিরুদ্ধে অবশ্য চাপে। বাংলা বনাম বরোদা ম্য়াচের দ্বিতীয় দিনের রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
মুকেশ কুমার ফেরায় এই ম্যাচে বাংলার বোলিং আক্রমণ শক্তিশালী হয়েছিল। তার সুফলও মিলেছে। আকাশ দীপ এবং মুকেশ কুমারের ৪ ও ৩ উইকেট এবং সায়নসেখর মণ্ডলের ২ উইকেটের সৌজন্য়ে বরোদাকে ২৬৯ রানে অলআউট করে বাংলা। বরোদা ইনিংসে উল্লেখযোগ্য় রান জ্যোৎস্নীল সিং (৮৫), প্রিয়াংশু মোলিয়া (৫০) এবং মহেশ পিঠিয়ার (৫২)। বাংলা অ্য়াডভান্টেজে ছিল এমনটাই বলা যায়। অন্তত বাংলা ব্য়াটিং গভীরতা দেখে এটুকু নিশ্চিত হওয়াই যায়। কিন্তু আদতে ঘটল উল্টো। বাংলাকে প্রথম চার ম্যাচেই হতাশ করেছে ওপেনিং জুটি। কোনও একজন রান করছেন। জুটিতে সাফল্য আসছে না। এই ম্যাচেও তাঁর অন্যথা হল না। অভিষেক দাস ফিরলেন মাত্র ৫ রানে।
গত চারটি প্রথম শ্রেনির ম্যাচেই শতরান করেছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। বাংলাদেশ সফরে ভারত এ দলের হয়ে ভালো খেলেছেন। রঞ্জিতে ফিরে গত দু-ম্য়াচেই শতরান। এ দিন বরোদার অভিষেককারী পেসার শায়েজাদখান পাঠানের বলে ২২ রানে ফিরলেন অভিমন্যুও। মাত্র ৪টি প্রথম শ্রেনির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শোয়েব সোপারিয়া এবং অভিষেককারী পাঠান, এই জুটিই বাংলার পতনের মূল কারণ। জুটিতে নিলেন ৭ উইকেট। এর মধ্যে পাঠানের দখলে ৭ উইকেট। অভিমন্যু ছাড়াও নিয়েছেন সুদীপ ঘরামি, শাহবাজ আহমেদ এবং উইকেট কিপার অভিষেক পোড়েলের উইকেট। মাত্র ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে ছিল বাংলা। ত্রাতার ভূমিকায় ক্রাইসিস ম্যান অুনুষ্টুপ মজুমদার। ৯০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ১৮৯-৯। এখনও পিছিয়ে ৮০ রানে। এই ম্যাচে বাংলা কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, সেটাই প্রশ্ন।