কলকাতা: যে টিম থেকে উত্থান হয়েছিল তাঁর, সেখানেই ফিরলেন। রিটেন করেনি দল। কিন্তু আস্থা যে হারায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট, তা প্রমাণ করে দিল নিলামের আসরে। পঞ্জাব কিংসেই থেকে গেলেন অর্শদীপ সিং। তবে তাঁর দর প্রায় আকাশ ছুঁয়ে ফেলল। গত আইপিএলে তাঁর দর ছিল ৪ কোটি। প্রায় সাড়ে গুণ দর বাড়ল বাঁ হাতি পেস বোলারের। ১৮ কোটিতে পঞ্জাবেই গেলেন অর্শদীপ। রিকি পন্টিং টিমের দায়িত্ব নেওয়ার পর আইপিএলের ছকটা অন্য ভাবে সাজাতে চেয়েছেন। পুরো টিমই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিন বছরের জন্য নতুন করে দল সাজাতে চাইছে পঞ্জাব। পার্সেও বিপুল টাকা। সেই মতো অর্শদীপের মতো কার্যকর বোলারকে তুলে নিল পন্টিংয়ের টিম। তবে আরটিএম ব্যবহার করতে হল।
অর্শদীপ সিংকে দিয়েই শুরু হয় নিলাম। বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি। চেন্নাই সুপার কিংস প্রথম বিড করে। তার পরই আসলে আসে দিল্লি ক্যাপিটালস। জমজমাট লড়াইয়ে ৭ কোটি ছাপিয়ে গিয়েছিল। ৭.৫ কোটি থেকে দিল্লির সঙ্গে লড়াই শুরু করে গুজরাট। ৯.৭৫ কোটি পর্যন্ত তারা অর্শদীপের জন্য দৌড়য়। তখনই আবার দর তোলে আরসিবি যোগ দেয়। ১০.৭৫ পর্যন্ত তাড়া করে টাইটান্স। রাজস্থান যোগ দেয় ১১ কোটিতে। গুজরাট ১১.২৫ কোটি পর্যন্ত গিয়েছিল। গুজরাট-রাজস্থানের লড়াই ১২ কোটি উঠে যায়। ১২.৭৫ কোটিতে প্রবেশ সানরাইজার্সের। রাজস্থানও ছাড়েনি। ১৩ কোটি দর তুলে দেয় রাজস্থান। সানরাইজার্সের সঙ্গে লড়াইয়ে ১৫ কোটি পার হয়ে যায়। ১৫.৭৫ কোটিতে অর্শদীপের জন্য পঞ্জাব আরটিএম ব্যবহার করে। নাছোড় হায়দরাবাদ ১৮ কোটি পর্যন্ত তাড়া করে। আরটিএম ব্যবহার করে ১৮ কোটিতেই তাকে নেয় পঞ্জাব কিংস।
আইপিএলের দুনিয়ায় অর্শদীপ অত্যন্ত সফল বোলার। গত বছর ১৭টা উইকেট পেয়েছিলেন। ২০২২ সালে ঝুলিতে ছিল ১০টা উইকেট। ২০২১ সালে ১৮টা উইকেট পেয়েছিলেন। কুড়ি ওভারের ক্রিকেট ভালো বোঝেন। প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে মাপতে অসুবিধা হয় না। অর্শদীপ আগামী তিনটে মরসুম পঞ্জাবের হয়েই খেলবেন। প্রীতি জিন্টার টিম আসলে ভারসাম্যের দিকে ফোকাস করেছে। ভালো টিম যাতে করা যায়, কখনও মুঠোয় না ধরা ট্রফি যাতে আসে। সেই স্বপ্ন কি পূরণ করতে পারবেন অর্শদীপ?