কলকাতা: ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার দিন এখন অতীত। এখন চাইলে রাতারাতি কোটিপতি হতে পারেন যে কেউ। ইন্ডিয়ার প্রিমিয়ার লিগে জুয়াড়িদের রমরমা। সন্ধে সাড়ে সাতটা মানে অনলাইন গেমিং ফ্যান্টাসি অ্যাপে হামলে পড়া। তার আগে? দিনভর চলে পছন্দের টিম বানানোর ভাবনা। ড্রিম ইলেভেন, মাই ইলেভেন সার্কল, এমপিএলের মতো একাধিক গেমিং অ্যাপে এখন টিম বানাচ্ছে নয় থেকে নব্বই। ৩৯ বা ৪৯ টাকা বিনিয়োগ করে কয়েক ঘণ্টায় বড়লোক হয়ে যেতে পারেন যে কেউ। কখনও ভেবে দেখেছেন, গেমিং অ্যাপগুলোর আয় কত? পুরো আইপিএল (IPL) আয়োজন করতে যত টাকা লাগে, তার থেকেও বেশি আয় বিভিন্ন গেমিং অ্যাপগুলোর। অঙ্কটা যদি জানেন, চোখ কপালে উঠে যাবে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
১৬তম আইপিএলে বাজছে চার ছক্কার বিউগল। গ্ল্যামারের ছটায় তারকা-বিস্ফোরণ যেমন আছে, সারা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তরা চোখ রাখছেন টিভি মোবাইলের পর্দায়। আর এতেই বিপুল আয়ের রাস্তা খুলে ফেলেছে গেমিং অ্যাপগুলো। এ বারের আইপিএলে প্রায় ২৯-৩১ হাজার কোটি টাকা আয় হতে পারে বিভিন্ন ড্রিম ইলেভেন, মাই ইলেভেন সার্কেলের মতো অ্যাপগুলোর। ২০১৯ সালে অনলাইন গেমিং অ্যাপ প্রায় ৯৯০ কোটি টাকা আয় করেছিল। ইন্টারনেট যত ছড়াচ্ছে জাল, তত বুঁদ শহর থেকে গ্রাম, রাজপথ থেকে কানাগলি ফ্যান্টাসি ক্রিকেটের রূপকথায়।
অনলাইন গেমিং অ্যাপে বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচের জন্য বিনিয়োগ করা হয়। ফ্যান্টাসি ক্রিকেট লিগে যে ক্রিকেটারদের উপর বিনিয়োগ করা হয়, তাঁরা ২২ গজে যেমন পারফরম্যান্স করেন, তার উপর নির্ভর করে এই অনলাইন গেমিং অ্যাপ থেকে কামাইয়ের পরিমাণ। বিভিন্ন ফ্যান্টাসি ক্রিকেট লিগের গেমিং অ্যাপে প্রাইজমানি আলাদা হয়। মাই ইলেভন সার্কেলে ১০ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার ক্যাটেগরিতে কেউ বিনিয়োগ করলে, ১ কোটি টাকা এবং অডি এ৪ গাড়ি প্রথম পুরস্কার। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করা ব্যক্তি পাবেন ১ কোটি টাকা। এতেই পরিষ্কার, একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপ কত টাকা কামাচ্ছে।
অনলাইন গেমিং অ্যাপের ব্যবহারকারীদের থেকে ২০১৯ সালের আইপিএলে ৩১০ কোটি টাকা আয় করেছিল ফ্যান্টাসি ক্রিকেট গেমিং অ্যাপগুলি। আইপিএলের গত মরসুমে ফ্যান্টাসি ক্রিকেট গেমিং অ্যাপগুলির গড় আয় হয়েছিল ৪১০ কোটি টাকা। সেই নিরিখে এ বারের আইপিএলের শেষে ৪৪০ কোটি টাকা আয় করতে পারে ফ্যান্টাসি ক্রিকেট গেমিং অ্যাপগুলি।