কলম্বো: সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ শুরু হয়েছিল রবিবার। অবশেষে শেষ হয় সোমবার। মাঝে কোনও বিশ্রাম নেই। রাত পোহালে ফের ম্যাচ। বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে দুপুর তিনটের সময়ই শুরু হবে ম্য়াচ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাত্র ৯৪ বলে ১২২ রানের অনবদ্য ইনিংস। ওডিআই ফরম্যাটে ৪৭তম সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ৭৭টি সেঞ্চুরি। অনবদ্য একটা ইনিংসে জিতে নিলেন ম্যাচের সেরার পুরস্কারও। এই ইনিংসে বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ল তাঁর রানিং বিটউইন দ্য উইকেটে। সিঙ্গল, ডাবল সুযোগ অনুযায়ী খুচরো রানেই নজর দিয়েছেন। বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা যথাক্রমে ৯ ও ৩। রান নেওয়ার সময় মাথায় কী ঘুরছিল? ম্যাচ শেষে জানালেন বিরাট। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পুরস্কার বিতরণ শুরু হয়েছে। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে সঞ্চালক কিছু প্রশ্ন করার আগেই বিরাট কোহলি তাঁকে বলেন, ‘আমি ভেবেই এসেছি, অনুরোধ করব, যতটা সংক্ষেপে সারা যায়।’ সঞ্চালকও কথা দেন, তিনটির বেশি প্রশ্ন করবেন না। পরপর দু-দিন ম্যাচ খেলে ক্লান্ত বিরাট? নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে বলছেন, ‘টিমের কাজে লাগবে, নিজেকে এ ভাবেই প্রস্তুত করেছি। ভালো শুরু না হলেও যে বড় ইনিংস খেলা যায়, তার একটা দারুণ উদাহরণ এই ম্যাচটা। রাহুলের শুরুটা আমার চেয়ে ভালো হয়েছিল। স্ট্রাইকরেটে ওকে ছুঁতে চাইছিলাম। যেখানে পৌঁছতে চেয়েছিলাম, পেরেছি। এর জন্যই ফিটনেস নিয়ে আমার এত গর্ব। বড় শটের চেয়ে গ্যাপে খেলে দু-রান নেওয়া সহজ। আগেও এর ফল পেয়েছি।’
রাহুলের সঙ্গে পার্টনারশিপ সম্পর্কে কিছু কথা বললেন। তৃতীয় প্রশ্নেই এল, আর কয়েক ঘণ্টা পরই তো ফের ম্যাচে নামতে হবে! বিরাট বলছেন, ‘আমার ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে প্রথম বার এমনটা হতে চলেছে। সৌভাগ্যবশত আমরা টেস্ট প্লেয়ার। সুতরাং, পরপর খেলতে হলেও সমস্যা নেই। বিশ্রাম জরুরি। রান নেওয়ার মাঝে মাঝে এটাও ভাবছিলাম। নভেম্বরে ৩৫ হয়েছে। নিজের ফিটনেস নিয়েও ভাবতে হবে।’ এরপর নিজে থেকেই যোগ করলেন, ‘আমার তরফে একটা কথা বলতে চাই, সমস্ত মাঠকর্মীকে কুর্নিশ। ওনারা এত পরিশ্রম করেছে বলেই খেলাটা হল।’