কলকাতা: এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় পাকিস্তান-বাংলাদেশ। নেপাল, ভারতের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও অনবদ্য বোলিং হ্যারিস রউফের। এ বছর যেন স্বপ্নের ফর্মে রয়েছে পাকিস্তানের এই পেসার। গতিতে মাত করছেন। তেমনই সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও অনবদ্য বোলিং। গতি এবং বাউন্সে বিব্রত করছিলেন। সঙ্গে নতুন বলে সুইং। প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ২ উইকেট। অনবদ্য বোলিং করছিলেন। কিন্তু কিছুতেই স্বস্তিতে দেখাচ্ছিল না হ্যারিস রউফকে। এরপরই দেখা গেল জুতো-বদল। ‘ছেঁড়া’ জুতো পরে খেললেন হ্যারিস! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পেসারদের ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা জুতো। সঠিক মাপের প্রয়োজন হয়। একটু এদিক ওদিক হলেই সমস্যা হতে বাধ্য। অন্য সমস্যাও রয়েছে। বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করে। ডান হাতি পেসারদের ক্ষেত্রে বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা প্রবল। অনেক সময় নখ উঠে যায়। কিছুক্ষেত্রে পেসারদের দেখা যায়, বুড়ো আঙুলে টেপ বেঁধে জুতো পরেন। বোলিংয়ের সময় যাতে আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে। আরও একটা উপায় আছে। হ্যারিস রউফকে সেটাই করতে দেখা গেল।
শুরুতে যে জুতো পরে বোলিং করছিলেন, সম্ভবত সেটি নতুন। তাই আর নিজের মতো ‘মডিফাই’ করার সুযোগ পাননি। দ্রুত ডাগ আউট থেকে তাঁর পুরনো জুতো জোড়া আনানো হয়। বোলিংয়ে স্বস্তিতে দেখায় তাঁকে। বাংলাদেশ ইনিংসে সব মিলিয়ে ৪ উইকেট তাঁর দখলে। মাত্র ৬ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পান। দিয়েছেন ১৯ রান। জুতো বদলের পর বোলিংয়েও ধার বাড়ে। তাঁর পুরনো জুতোর বাঁ পায়েরটিতে বুড়ো আঙুলের জায়গায় ওই মাপেরই ফুটো করা। বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করলেও আঙুলে চোট লাগার সম্ভাবনা নেই। পায়ে খুব চাপ পড়লে আঙুল কোথাও ধাক্কা খাচ্ছে না। সে কারণেই স্বস্তিতে দেখায় রউফকে।
বিশ্ব ক্রিকেটে অতীতেও অনেক পেসারকেই এমনটা করতে দেখা গিয়েছে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আক্রম, শোয়েব আখতার, অজি স্পিডস্টার ব্রেট লি এবং ভারতীয় দলের তারকা পেসার মহম্মদ সামিকেও এমনটা করতে দেখা যায়।