কলম্বো: বিশ্ব ক্রিকেটে বর্তমান প্রজন্মের সেরা পাঁচ পেসারের তালিকা তৈরি হলে! নিঃসন্দেহে নাম থাকবে শাহিন শাহ আফ্রিদির। পাকিস্তানের এই তরুণ পেসার একের পর এক চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন বাকি দুই পেসার নাসিম শাহ এবং হ্যারিস রউফ। বছরের পর বছর একটা বিষয় দেখা যায়, পাকিস্তানের পেস আক্রমণ বিশ্ব ক্রিকেটে আলাদা জায়গা করে নেয়। এ বারের ব্যাচও তাই। এশিয়া কাপে এখনও অবধি নজর কেড়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি সম্পূর্ণ না হলেও পাকিস্তান পেস বোলিং লাইন আপ নজির গড়েছেন। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম বার প্রতিপক্ষের দশ উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা। আর এই বোলিং লাইন আপকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাহিন। তাঁর জন্য বিশেষ কী প্রস্তুতি? খোলসা করলেন তরুণ ওপেনার শুভমন গিল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বাঁ হাতি পেসারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় টপ অর্ডারের টালমাটাল পরিস্থিতি, নতুন নয়। শুধু যে শাহিন আফ্রিদির বিরুদ্ধেই এই সমস্যা হয়, তা নয়। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান, নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, পাকিস্তানের মহম্মদ আমির। বাঁ হাতি পেসারের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের রোগ দীর্ঘ দিনের। সে কারণেই বাঁ হাতি থ্রো ডাউন স্পেশালিস্টকে নেওয়া হয়েছিল। কয়েক বছর ধরে ভারতীয় শিবিরে রয়েছেন বাঁ হাতি থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট শ্রীলঙ্কার নুয়ান সেনাবিরত্নে। সঙ্গে দু-জন ডান হাতি থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট রঘু এবং দয়ানন্দ।
পাকিস্তানের বাঁ হাতি পেসার শাহিনের জন্য কী বিশেষ প্রস্তুতি সেরেছে টিম? এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে শুভমন বলেন, ‘গত ৭-৮ বছর ধরেই টিমের সঙ্গে রয়েছে নুয়ান (বাঁ হাতি থ্রো-ডাউন স্পেশালিস্ট নুয়ান সেনাবিরত্নে)। থ্রো-ডাউনের ক্ষেত্রেও টিমে বৈচিত্র রয়েছে। নুয়ানের পাশাপাশি দু-জন ডান হাতি থ্রো-ডাউন স্পেশালিস্টও রয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে প্র্যাক্টিস করা, যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হয়।’
সেটাই যদি হয়, পাকিস্তানের পেসারদের বিরুদ্ধে সমস্যাটা কেন এত বেশি? শুভমন ব্যাখ্যা করলেন, ‘পাকিস্তানের পেসাররা খুবই দক্ষ। ওদের নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। শাহিন খুবই ভালো সুইং করাতে পারে। নাসিম গতিতে বাজিমাত করে। পিচ থেকে সুবিধা আদায় করে নেয়। ওরা ভিন্ন পরিস্থিতে নানা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়।’
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তান পেসাররা শুরুতে দাপট দেখান। মিডল ওভারে তাঁদের পাল্টা দেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ঈশান কিষাণ। জুটিতে ১৩৮ রান যোগ করেন অলরাউন্ডার হার্দিক ও কিপার ব্যাটার ঈশান। এই জুটির সৌজন্যেই ২৬০ ওপর স্কোর গড়ে ভারত। ম্যাচ সম্পূর্ণ হলে পাকিস্তানের জন্যও লড়াইটা একে বারেই সহজ ছিল না। ভারতীয় পেসাররাও মেঘলা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে দাপট দেখাতে পারতেন। রবিবার ভুল শুধরে টপ অর্ডার কেমন পারফর্ম করেন সে দিকেই নজর থাকবে।