হানঝাউ: চিনের মাটিতে ইতিহাস গড়েছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। প্রথম বার এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছে ভারত। অভিষেকেই সোনার পদক ভারতের। শৃঙ্খলাজনিত কারণে ফাইনালের আগে পাওয়া যায়নি অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরকে। টিম ইন্ডিয়াকে নেতৃত্ব দেন স্মৃতি মান্ধানা। ব্যাট হাতে ভরসা দিয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটের সুপারস্টার। ফাইনালেও অনবদ্য ইনিংস। চিনে ক্রিকেট প্রেম নেই। তবে স্মৃতির জন্য…। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ঝিয়াং ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি ক্রিকেট ফিল্ড। নামটা সত্যিই অদ্ভূত। টেকনোলজিতে বিখ্যাত হানঝাউ। কিন্তু ক্রিকেট! চিনের লোকেদের কাছে অজানা একটি স্পোর্টস। ম্যাচ চলাকালীন কিছু দর্শক ছিলেন। কোনও ব্যাটার ছয় মারলে হাততালিও এসেছে। কেন না, এর সঙ্গে যে বেসবলের মিল রয়েছে! হানঝাউতে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা সোনার পদকের ম্যাচে নানা ফ্যামিলি টাইম চোখে পড়ল। ক্রিকেট দেখতে নয়, বেশিরভাগই উপস্থিত পরিবেশটা উপভোগ করতে। এর মধ্যেই নজর কাড়ল একটি ব্যানার।
জুন ইউ। ক্রিকেটে সোনার পদকের ম্যাচ দেখতে উপস্থিত এক তরুণ। সঙ্গে একটা ব্যানার। বেজিং থেকে এসেছেন। জিওলজির ছাত্র। হঠাৎই মনে হয়েছিল, ‘স্মৃতি মান্ধানা’কে দেখার সুযোগ মিলবে। রাতেই বেজিং থেকে হানঝাউ পাড়ি দেন। ব্যানারে লেখা, ‘মান্ধানা, দ্য গডেস’। স্মৃতি মান্ধানাকে দেবীর আসনে বসিয়েছেন জুন ইউ। বলছেন, ‘আমি ওর ভক্ত। কম্পিউটার গেম খেলার ফাঁকে ওর খেলার ভিডিয়ো দেখি। ওর খেলার স্টাইল আমার দারুণ পছন্দ।’
ক্রিকেট শেখার প্রবল ইচ্ছে। কিন্তু সঙ্গী খুঁজে পাওয়া তাঁর পক্ষে কঠিন। যাঁকে তিনি বোলিং করতে পারবেন বা যে তাঁকে বোলিং করতে পারবেন। তাহলে কি চিনের লোকেরা একেবারেই ক্রিকেট বোঝেন না? জুনের কথায়, ‘চিনে ক্রিকেট খেলার সঙ্গী খুঁজে পাওয়া কঠিন। হাতে গোনা কয়েকজন হয়তো নিয়মটা জানে। কিন্তু খেলতে কেউ চায় না। বরং, ক্রিকেট মাঠের পরিবেশটাই তাদের কাছে বেশি পছন্দের।’