লাঞ্চের পরই জসপ্রীত বুমরার মাঠ ছাড়া। সিডনি টেস্টে ভারতকে বেশ অস্বস্তিতে রেখেছে। তাঁর চোট কতটা গুরুতর, এখনই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর অনুপস্থিতিতে ক্যাপ্টেন্সি করছেন বিরাট কোহলি। এই সিরিজে ভারতীয় বোলিংয়ে বুমরা ছাড়া কেউ ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। তবে প্রয়োজনের সময় ঠিক পারফর্ম করলেন। মহম্মদ সিরাজের পাশাপাশি নীতীশ রেড্ডি, প্রসিধ কৃষ্ণর মতো তরুণরাও ভরসা দিলেন। আর কৃতিত্ব প্রাপ্য ক্যাচিংয়েরও। কোহলির ক্যাপ্টেন্সিতে ক্যাচ কামালও দেখা গিয়েছে। যার জেরে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৮১ রানেই গুটিয়ে দিল ভারত।
সিডনিতে সাধারণত স্পিন সহায়ক পিচ দেখা যায়। এ বার অবশ্য গ্রিনটপ। সঙ্গে পেস ও বাউন্স। ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন পরিস্থিতি। ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮৫ রানেই অলআউট। লোয়ার অর্ডারে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি পার্টনারশিপ ভারতকে স্বস্তি দেয়। ক্যাপ্টেন জসপ্রীত বুমরা ২২ রান করেছিলেন। লো-স্কোরিং ম্যাচে প্রতিটা রান মূল্যবান। বোলাররাও সেই দায়িত্ব পালন করলেন। সবচেয়ে বেশি স্বস্তির ক্যাচিং। মেলবোর্নে যশস্বী জয়সওয়াল একাই তিনটি ক্যাচ মিস করেছিলেন। এই ম্যাচে তিনিও দুর্দান্ত একটা ক্যাচ নেন।
লাঞ্চের আগে স্টিভ স্মিথের উইকেট নিয়ে ভারতকে অ্যাডভান্টেজে রেখেছিলেন প্রসিধ কৃষ্ণ। কিন্তু চাপ বাড়াচ্ছিলেন অভিষেক ম্যাচে নামা বিউ ওয়েবস্টার। ৫৭ রানে ফেরেন তিনি। বোলিং ইউনিট হিসেবে পারফর্ম করেছে ভারত। বুমরা ২ উইকেট নিয়েছিলেন। চোটে মাঠ না ছাড়লে হয়তো বাড়তো। মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণ তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি উইকেট নীতীশ রেড্ডির। স্লিপে লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ২৫০ পার করলেই যে অস্ট্রেলিয়ার চাপ বাড়বে, পিচের পরিস্থিতি দেখে বলাই যায়।