কলকাতা : মৃত্যুভয় সকলেরই থাকে। কিন্তু কেউ যদি জেনে যান তাঁর আয়ু আর বেশিদিন নেই, কেমন হতে পারে সেই অনুভূতি? বয়স বাড়লে মানুষের শরীরে জেঁকে বসে বিভিন্ন অসুখ। কিছু কিছু রোগের চিকিৎসাতেও কাজ হয় না। পুরোপুরিভাবে কোনওদিনই সেরে ওঠে না। যতদিন পৃথিবীতে থাকবেন ততদিন শরীরে বয়ে নিয়ে যেতে হবে। এমনই পরিস্থিতি অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অ্যালেন বর্ডারের (Allan Border)। ৬৭ বছরের বর্ডার পার্কিনসন্স রোগে ভুগছেন। এটি একটি স্নায়ুর অসুখ। ২০১৬ সালে অজি কিংবদন্তির এই নার্ভ ডিসঅর্ডার ধরা পড়ে। সম্প্রতি তাঁর এই অসুস্থতা সম্পর্কে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন বর্ডার। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, এই রোগ নিয়ে তিনি যদি ৮০ বছর পর্যন্ত বাঁচেন তাহলে সেটাই হবে মিরাকল। সেই মিরাকেলের অপেক্ষা করছেন তিনি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports–এর এই প্রতিবেদনে।
পারকিনসন্স হল স্নায়ুর অসুখ। রোগের লক্ষণ হল, হাতে-পা হঠাৎ করে কেঁপে ওঠা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, হাঁটাচলায় গতি কমে যাওয়া, পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। ওষুধের মাধ্যমে রোগের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও এর থেকে পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এছাড়া রোগকে দমিয়ে রাখতে শরীর চর্চার প্রয়োজন। চিকিৎসকদের কাছ থেকে এই সত্যিটা জেনে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্যাপ্টেন অ্যালেন বর্ডার। সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে বর্ডার বলেছেন, “আমি ভীষণ প্রাইভেট মানুষ। আমি চাই না লোকের আমার জন্য দুঃখ পাক। লোকেরা আপনার কেয়ার করে কি না তা আপনি জানেন না। কিন্তু আমি জানি, এমন একটা দিন আসবে যখন মানুষ লক্ষ্য করতে শুরু করবে। আমি অনুভব করি যে, অনেকের চেয়ে অনেক ভালো আছি আমি।”
১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বর্ডার বলেছেন, “এই মুহূর্তে আমি খুব একটা ভীত নই। আগাম ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তা করছি না। এখন আমার বয়স ৬৮ বছর। যদি ৮০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারি তাহলে সেটাই হবে মিরাকেল। আমার চিকিৎসক বন্ধু রয়েছেন তিনিই বলেছেন, আমি ৮০ বছর বাঁচলে সেটা অবিশ্বাস্য হবে।” কেরিয়ারে ২৭৩টি ওডিআই খেলা বর্ডার জানেন জীবনের ১০০-তে পৌঁছনো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। অবসরের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছেন এবং ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছেন।