কেপটাউন: আরও একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আরও একটি নকআউট ম্য়াচ। সামনে অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় দলের উইকেট কিপার ব্য়াটার রিচা ঘোষের কাছে এই ম্যাচ কিছুটা আনন্দের। অনেকটাই অস্বস্তির। রিচার বিশ্বকাপ অভিষেক হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই। সেটাও দুর্ঘটনাবশত। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। রিচা তখন রিজার্ভ বেঞ্চে। প্রত্য়াশিত ভাবেই খেলছিলেন নিয়মিত উইকেটরক্ষক তানিয়া ভাটিয়া। এরই মাঝে দুর্ঘটনা। তানিয়া ভাটিয়া মাথার পিছন দিকটায় আঘাত পান। কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে বিশ্বকাপ অভিষেক হয় রিচার। বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে আন্তর্জাতিক হয়েছিল। এ বার বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে সাংবাদিক সম্মলনে এলেন রিচা ঘোষ। তিন বছরে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। সেমিফাইনালের আগে রিচা কী বলছেন? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
পাঁচ বারের চ্য়াম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। এ বারের টুর্নামেন্টেও টানা জিতেছে। গ্রুপ পর্বে ভারত একটি ম্যাচে হেরেছে। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ভারত। এই ম্যাচে কি তবে অস্ট্রেলিয়াই এগিয়ে? প্রাক ম্য়াচ সাংবাদিক সম্মেলনে রিচা বলেন, ‘এমন নয় যে, আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারি না। আমরা অবশ্য়ই অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারি। অতীতেও হারিয়েছি। ভারতের মাটিতে গত সিরিজেও ওদের হারিয়েছি। নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়া খুবই শক্তিশালী দল। তবে ওদের আমরা হারাতে পারি।’ বিশ্বকাপ থেকে আরও একটা বিশ্বকাপ। রিচা এখন অনেক বেশি পরিণত। সদ্য অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছেন। এ বার সিনিয়র দলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। তাঁর পারফরম্য়ান্সে যেমন পরিণত ভাব এসেছে, তেমনই কথা-বার্তাতেও।
সাংবাদিক সম্মেলনে রিচার কাছে জানতে চাওয়া হয়, একজন উইকেট কিপার হিসেবে রিচার পক্ষে পুরো মাঠ দেখা সম্ভব। প্রতিপক্ষর শক্তি দুর্বলতা সম্পর্কেও অনেক কিছু জানা যায়। রিচা কি অস্ট্রেলিয়ার দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছেন? ভারতের এই বিধ্বংসী ব্য়াটার বলছেন, ‘অবশ্যই ওদের দুর্বলতা নজরে পড়েছে। প্রস্তুতিতে সেই বিষয়গুলি নিয়ে আমরা আলোচনা এবং কাজও করেছি। তবে ওদের দুর্বল দিকগুলি যদি এখানে বলেই, ওরা শুধরে নেবে। সুতরাং, ওদের প্রস্তুতির কোনও সুযোগ দিতে চাই না। কোনওরকম তথ্য দিয়ে সাহায্য করার পক্ষে নই আমি।’