লখনউ: দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মুখে হাসি আছে কীনা বলা কঠিন। তবে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটবে এটুকু বলা যায়। লখনউয়ে আজ মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত-পাকিস্তানের মতো না হলেও এই লড়াই যথেষ্ঠ উপভোগ্য। বিশেষ করে বিশ্বকাপের মঞ্চে তো অবশ্যই। নানা স্মরণীয় ম্যাচ রয়েছে। বিশ্বকাপের বাইরেও ঐতিহাসিক ম্যাচ হয়েছে। একটার কথা কোনওদিনই ভোলা যাবে না। ২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে সেই ৪৩৪ বনাম ৪৩৮-এর ম্যাচ। সদ্য ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দু-ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়েও ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জেতে প্রোটিয়ারা। তেইশের বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়ার আগে দু-দলের পরিস্থিতি পুরোপুরি আলাদা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
অস্ট্রেলিয়া পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন। অন্য দিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের মঞ্চে জ্বলে উঠলেও নিভেও যায়। ওডিআই বিশ্বকাপে চার বার সেমিফাইনালে উঠলেও এর বেশি এগনো হয়নি। অতীতে যা হয়েছে বা হয়নি, বর্তমানেও একই হবে তা নয়। তেইশের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোর, এক ইনিংসে তিন সেঞ্চুরিয়ন, দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার, অনবদ্য ফর্মে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বড় জয়েও কিছুটা চিন্তা বোলিং। দিল্লির ব্যাটিং সহায়ক পিচ হলেও ৪০০-র ওপর রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কার ৩২৬ অবধি পৌঁছনোতে খুশি নন প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। এই ম্যাচে তাদের বোলিং লাইন আপে পরিবর্তন হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে হার দিয়ে। এতেও তাদের রেকর্ড। সেই ১৯৯২ সালের পর প্রথম হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক পিচে খাবি খেয়েছে অজি ব্যাটাররা। জাডেজা-কুলদীপ-অশ্বিন, স্পিনত্রয়ী নিয়েছে সব মিলিয়ে ৬ উইকেট। লখনউয়ে সাধারণত স্পিন সহায়ক পিচ হয়ে থাকে। বিশ্বকাপের জন্য সমস্তটাই বদলে ফেলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা দু-দলের কাছেই তাই অচেনা পরিবেশ। যদি আগের মতোই স্পিনারদের জন্য সুবিধা থাকে, অ্যাডভান্টেজ দক্ষিণ আফ্রিকা। টিমে কেশব মহারাজের মতো দক্ষ স্পিনার রয়েছেন। একাদশে আনা হতে পারে চায়নাম্যান তাবরাইজ শামসিকে। চেন্নাইয়ে কুলদীপের বিরুদ্ধে চাপে পড়েছিল অজি ব্য়াটাররা। শামসিকে এনে সেই চাপ দেওয়াই লক্ষ্য থাকবে। এ ছাড়া পার্টটাইম স্পিনও রয়েছে প্রোটিয়া শিবিরে।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে কিছুটা স্বস্তির খবর, এই ম্যাচে ফিরতে পারেন মার্কাস স্টইনিস। ভারতে খেলার প্রচুর অভিজ্ঞতা। ব্যাটে-বলে ম্যাচের রং বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন স্টইনিস। পরিস্থিতি যাই হোক, দর্শকরা বলতেই পারবে-‘মুসকুরাইয়ে, আপ হ্যায় লখনউ মে।’