দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের সঙ্গে চোকার্স শব্দটা জুড়ে রয়েছে। তার নানা কারণও রয়েছে। প্রতি টুর্নামেন্টেই শুরুটা দুর্দান্ত হয়। কিন্তু মাঝপথে খেই হারায়। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে চার বার সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তারা। এরপর আর এগতে পারেনি। বর্তমান প্রোটিয়া অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন, ‘যতক্ষণ না আমরা চ্যাম্পিয়ন হচ্ছি, এই তকমা থাকবেই।’ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক এবি ডিভিলিয়ার্স মনে করছেন, এ বার সেই সুযোগ রয়েছে। তাঁর এমন মনে হওয়ার কারণও খোলসা করেছেন। আইসিসি একটি কলামে ‘মিস্টার ৩৬০ডিগ্রি’ এবিডি যা লিখেছেন, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোর গড়েছে তারা। ধারাবাহিকতা কতটা বজায় রাখতে পারবে, সেটাই প্রশ্ন। এবিডি লিখেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরই এখনও অবধি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক। ক্রিকেট বিশ্বকে ইতিমধ্যেই এই টিমটা শক্তি দেখিয়েছে। এরকম আরও কিছু পারফরম্যান্স চাই। তাহলে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট প্রেমীরাও বিশ্বাস করতে পারবে, এই টিমটা প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। এর আগেও দেখা গিয়েছে, টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবে নামলেও ফাইনাল অবধি পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে।’
এবিডি নিজেও এমন একটা মুহূর্তেই সাক্ষী। ২০১৫ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও সেমিফাইনালে চাপের মুখে হার। আরও এক বার শেষ চারেই বিদায়। এ বার প্রত্যাশার চাপ অনেক কম থাকবে বলেই মনে করেন প্রাক্তন প্রোটিয়া অধিনায়ক। লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো দুর্দান্ত শুরু করেছে, কিন্তু ওদের ওপর প্রত্যাশার সেই চাপ নেই। কেন না, এর আগেও এরকম দুর্দান্ত শুরু হয়েছে। প্রত্যাশার চাপ না থাকার জন্যই এ বার আমি বেশি আশাবাদী। নিজেও বিশ্বকাপ খেলেছি। আমাদের টিমে সুপারস্টারের অভাব ছিল না। প্রয়োজনের সময় আমরা কিন্তু চাপ সামলাতে পারিনি। বর্তমান টিমে ঠিক উল্টো। খুব কম জনই রয়েছে, যারা সেই অর্থে প্রতিষ্ঠিত। সুতরাং, ওদের ওপর প্রত্যাশার বোঝা নেই। ওরা অনেক খোলা মনে খেলতে পারবে।’