কলকাতা : এক দেশ থেকে আর এক দেশ। এক খেলা থেকে অন্য খেলা। খুঁজলে এমন অনেক উদাহরণই পাওয়া যাবে। অস্ট্রেলিয়ার মহিলা টেনিস প্লেয়ার অ্যাশলে বার্টির কথা ধরা যাক। একম সময় ছিলেন ক্রিকেটার। পরবর্তীতে টেনিসে মনোনিবেশ করেন। অল্প বয়সেই টেনিস থেকে অবসর নেনে অ্যাশলে বার্টি। জিতেছেন গ্র্যান্ড স্লামও। তেমনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি বিধ্বংসী ব্যাটার ভিভ রিচার্ডসের কথাই ভাবুন। ফুটবল বিশ্বকাপে খেলেছেন। তেমনই খেলেছেন ক্রিকেট বিশ্বকাপেও। এমন উদাহরণের মধ্যে আরও একটা নাম উল্লেখ করা যাক, ডার্ক ন্যানেস। অলিম্পিয়ান, ক্রিকেট খেলেছেন দু-দেশের হয়ে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও ছাপ ফেলেছিলেন এই বাঁ হাতি পেসার। ডার্ক ন্যানেস। মনে পড়ছে এই পেসারকে? বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
পেশাদার স্কিয়িং খেলোয়াড় ছিলেন ডার্ক ন্যানেস। কিন্তু পরবর্তীতে ক্রিকেটকেই বেছে নেন। ১৯৯৫ সালে উইন্টার অলিম্পিকে অজি দলে ছিলেন ন্যানেস। স্কিয়িংয়ের পাশাপাশি স্নো-বোর্ডেরও শখ ছিল তাঁর। ক্রিকেট মাঠে ডার্ক ন্য়ানেসের উত্থান অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্য়াশ লিগ থেকে। সিডনি সিক্সারের হয়ে চোখ ধাধানো বোলিং করেছিলেন। অলিম্পিয়ান ডার্ক ন্যানেসের পারফরম্যান্স এখনও অনেকের কাছেই উজ্জ্বল। অথচ একটি সাক্ষাৎকারে ডার্ক ন্য়ানেস নিজেই জানিছিলেন, ক্রিকেটার হওয়ার কোনও ইচ্ছেই ছিল না তাঁর। ক্লাব ক্রিকেটে খেলতে খেলতে সুযোগ আসে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলেও। ২০০৯ সালে ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ডার্ক ন্যানেসের। সে বছরই নেদারল্য়ান্ডসের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন ডার্ক ন্য়ানেস। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজি দলে ছিলেন ন্য়ানেস। ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৪টি উইকেট নিয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারি ছিলেন ডার্ক ন্যানেসই।
আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে সুযোগ পেয়েই আইপিএলে ছাপ ফেলেছিলেন ডার্ক ন্য়ানেস। আইপিএলে অভিষেকের সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর। ডার্ক ন্যানেসকে নিয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (দিল্লি ক্যাপিটাল)। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্রথম মরসুমেই ১৩ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলেছেন। ২০১৩ সালে অবধি আইপিএলে খেলেছিলেন এই বাঁ হাতি পেসার। এর মধ্যে প্রায় ৩০ ম্যাচ খেলেছিলেন। টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে প্রায় ২১৫টি ম্যাচ খেলেছেন। নিয়েছেন ২৫৭টি উইকেট। এর মধ্যে দু-বার পাঁচ উইকেট নেওযারও পারফরম্যান্স রয়েছে ডার্ক ন্য়ানেসের।