তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুততম হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৩ হাজার রানের পাশাপাশি ৩০০ উইকেট। এই রেকর্ড অবশ্য চেন্নাইতেই হতে পারত। অপেক্ষায় ছিলেন সকলেই। কিন্তু অল্পের জন্য হয়নি। ২৯৯ উইকেটে ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। কানপুর টেস্তের প্রথম দিন ৩৫ ওভার খেলা হলেও বোলিং পাননি রবীন্দ্র জাডেজা। মাঝে দু-দিন খেলা হয়নি। জাডেজার অপেক্ষা বাড়ছিল। অবশেষে চেন্নাইয়ের চতুর্থ দিন রেকর্ড। অবশ্য ব্যাটিংয়ে নেমেও তাঁর সঙ্গে অদ্ভূত ঘটনা। যা আগে কখনও হয়নি বলেই হেসে উঠলেন রবীন্দ্র জাডেজা। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে কী বলছেন মাইলস্টোন-ম্যান রবীন্দ্র জাডেজা?
রেকর্ড প্রসঙ্গে রবীন্দ্র জাডেজা বলেন, ‘অবশ্যই বিশেষ মুহূর্ত। দেশের হয়ে এমন সাফল্য পেলে ভালোই লাগে। ১০ বছর ধরে টেস্ট খেলছি। নিজেকে নিয়ে গর্বিত। দেশের হয়ে ভালো পারফর্ম করলে সব সময়ই ভালো লাগে। আজীবন স্মৃতিতে থেকে যায়। দেশের জার্সি পরলেই আলাদা অনুভূতি হয়।’ চেন্নাই টেস্টের পরবর্তী টার্গেটও পরিষ্কার করে দেন জাড্ডু। বলেন, ‘আপাতত বাংলাদেশের ৮ উইকেট দ্রুত নেওয়াই প্রথম টার্গেট। এরপর ওরা যা টার্গেট দেবে, সেই অনুযায়ী জয়ের পরিকল্পনা গড়তে হবে।’
বোলার রবীন্দ্র জাডেজা বরাবরই নির্ভরযোগ্য ছিলেন। আর ফিল্ডিংয়ে বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা। তবে টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত উন্নতি করেছেন। এ দিন অবশ্য আউট বেশ মজার ঢঙে। ব্যাট-প্যাড হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনও ব্য়াটার শর্ট লেগ কিংবা ক্লোজ ইন ফিল্ডারের ক্যাচে ফিরতে পারেন। জাডেজা স্টেপ আউট করে এমন ডিফেন্স করেছিলেন যে ক্যাচ পৌঁছোয় কভার ফিল্ডারের কাছে! এই প্রশ্নেই হেসে ওঠেন জাডেজা।
কোনও দিন ব্যাট-প্যাডে কভারে আউট হয়েছেন? জাডেজা হাসতে হাসতে বলেন, ‘না, প্রথম বার।’ নিজের টেস্ট ব্যাটিং নিয়ে অবশ্য বলছেন, ‘অনেকেই সাদা বলে স্পেশালিস্ট বলত। নিজেকে নিয়ে প্রচুর ভেবেছি। লাল বলে বোলিং-ব্যাটিং উন্নতির চেষ্টা করেছি। যখনই ব্যাটিংয়ে যাই, পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি, বোলারের মানসিকতা। নিজেকে সময় দিয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা থাকে।