মুম্বই: ভারতীয় দলের শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) সফরে হানা দিয়েছিল করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। সবার প্রথম ক্রুণাল পাণ্ডিয়া (Krunal Pandya) সংক্রমিত হন। একই সঙ্গে আট ক্রিকেটারকে পাঠানো হয় আইসোলেশনে। তারপর আরও দুই ক্রিকেটারের (কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ও যুজবেন্দ্র চাহাল) সংক্রমণ ধরা পড়। করোনার হানায় শেষ দুটি টি-২০ ম্যাচে ১১ জন ক্রিকেটার মাঠে নামাতে চাপে পড়তে হয়েছিল শিখর ধাওয়ান ও রাহুল দ্রাবিড়দের।
শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতীয় দলের করোনা সংক্রমণ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা। শ্রীলঙ্কা সফররত দলের ডাক্তারের গাফিলতিতেই কি সংক্রমণের এই ধাক্কা? কিছু রিপোর্টে উঠে আসছে এই তথ্য। পাণ্ডিয়ার করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরও নাকি তাঁর কোভিড টেস্ট হয়নি। একদিন পর টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন দলের ডাক্তার অভিজিত্ সালভি।
২৬ জুলাই ক্রুণালের উপসর্গ দেখা দেয়। সেদিন দলের ডাক্তার তাঁকে আইসোলেশনে পাঠননি। করা হয়নি আরটিপিসিআর বা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। সেই অবস্থাতেই টিম মিটিংয়ে যোগ দেন ক্রুণাল। ২৭ জুলাই সকালে আরটিপিসিআর টেস্ট হয় পাণ্ডিয়ার। বিকেল তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ২৬ তারিখেই নিজের অবস্থার কথা নাকি ডাক্তারকে জানিয়েছিলেন ক্রুণাল কিন্তু দলের ডাক্তার কেন সেটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেননি সেটাই প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে কেন শ্রীলঙ্কা সফরে প্রতি পাঁচ দিন অন্তর আরটিপিসিআর টেস্ট করা হল? যেখানে আইপিএল বা অন্য টুর্নামেন্টে প্রতি তিনদিন অন্তর টেস্ট করা হয়।