ইন্দোর: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনাল খেলতে রবিবার বিকেলেই ইন্দোর উড়ে গিয়েছে বাংলা (Bengal)। এ মরসুমে দুরন্ত ফর্মে আছেন মনোজ-অভিমন্যুরা। টানা তিন বার রঞ্জির শেষ চারে পৌঁছেছে টিম বেঙ্গল। গত বার রঞ্জি সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল বাংলা। এ বারও সামনে সেই মধ্যপ্রদেশ। বিপক্ষের ডেরাতেই আবার মেগা ম্যাচে মাঠে নামবেন অনুষ্টুপরা। কঠিন চ্যালেঞ্জ বাংলা দলের সামনে। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রঞ্জি জেতেনি বাংলা। কখনও ফাইনাল বা কখনও সেমিফাইনালে থামতে হয়েছে। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লাও ক্রিকেটার জীবনে ফাইনাল খেলেছেন। তবু কাপ আর ঠোঁটের মাঝে ব্যবধান ঘোচাতে পারেননি। ক্রিকেটার জীবনের ব্যর্থতা কোচিং জীবনে ঘোচাতে চান লক্ষ্মী। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিও (Manoj Tiwary) ফোকাস ধরে রাখছেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
সোমবার সকালে ইন্দোরের মাঠে অনুশীলন করল বাংলা শিবির। মূলত কালো মাটির উইকেট। গতির পাশাপাশি পরের দিকে উইকেটে বলও টার্ন করবে। তাই বাড়তি সতর্ক থাকতেই হবে শাহবাজদের। মঙ্গলবারের অনুশীলনের পরই বুধবারের চূড়ান্ত একাদশ বাছবে টিম ম্যানেজমেন্ট। মধ্যপ্রদেশ গত বারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন। রজত পাতিদার, যশ দুবে, শুভম শর্মা, হিমাংশু মন্ত্রীরা দাপট দেখিয়ে চলেছেন। বোলিংয়ে আবেশ খানের মতো পেসার আছেন। এ ছাড়া স্পিনার কুমার কার্তিকেয়া আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান।
বঙ্গশিবিরকে ভাবাচ্ছে ওপেনিং বিভাগ। অভিমন্যু ঈশ্বরন ছাড়া কেউই সে ভাবে থিতু হতে পারেননি। প্রতি ম্যাচেই ওপেনিং স্লটের ব্যর্থতা চোখে পড়েছে। আবেশ খানদের গতির সামনে বাংলা শিবিরের কাছে এই ধাক্কাটা সামলানোই প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে খেলানো হতে পারে করণ লালকে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফস্পিনও করতে পারেন। স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে আছেন শাহবাজ আহমেদ। তৃতীয় স্পিনারের কাজ করতে পারেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। বাংলার পেস অ্যাটাক রঞ্জির আসরে অন্যতম সেরা লাইন আপ। আকাশদীপ, ঈশান পোড়েল, মুকেশ কুমারদের পারফরমেন্স ঈর্ষণীয়। মিডিয়াম পেসার আকাশ ঘটককে নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে ড্রেসিংরুমে। যদিও ঝাড়খণ্ড ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নেন আকাশ ঘটক। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও দলকে ভরসা দিতে পারেন। বদলার ম্যাচে মধ্যপ্রদেশকে হারাতে সমস্ত রকম অঙ্কই সাজিয়ে রাখছেন লক্ষ্মী-মনোজরা।