দেরাদুন : রঞ্জি ট্রফির অ্যাওয়ে ম্য়াচে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার তিন পয়েন্ট কার্যত নিশ্চিত। যদিও দ্বিতীয় দিন সরাসরি জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে বড় রানের পর দ্রুত প্রতিপক্ষের ৬ উইকেট তুলে নেওয়ায় প্রত্যাশা বেড়েছিল বাংলা শিবিরে। দ্বিতীয় দিন বাংলাকে অস্বস্তিতে রেখেছিল উত্তরাখণ্ডের সপ্তম উইকেট জুটি। তৃতীয় দিন অস্বস্তি বাড়াল অষ্টম উইকেট জুটি। এই ম্যাচ থেকে আপাতত তিন পয়েন্টের সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে। সরাসরি জিততে হলে শেষ দিন অভাবনীয় পারফরম্যান্স করতে হবে বাংলা বোলারদের। উত্তরাখণ্ড বনাম বাংলা ম্যাচের তৃতীয় দিনের বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রান করেছিল বাংলা। অভিমন্য়ু ঈশ্বরণ বড় সেঞ্চুরি করেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন তিনে নামা সুদীপ ঘরামি। শেষ দিকে শাহবাজ আহমেদের কার্যকর ইনিংস। দ্বিতীয় দিন উত্তরাখণ্ড শুরু থেকেই বিপত্তিতে ছিল। মাত্র ৪৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তারা। সপ্তম উইকেটে ৭০ রানের জুটি গড়েন কুনাল চান্ডিলা এবং অখিল সিং রাওয়াত। তবে ফলো অন বাঁচানারো ক্ষেত্রে তাদের বড় ভরসা হয়ে ওঠে অষ্টম উইকেট জুটি। কুনাল চান্ডিলা এবং অভয় নেগি জুটি যোগ করে ১২৮ রান। বাংলার সরাসরি জয়ের আশায় যা কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে।
শুরু এবং শেষ দিকে বাংলার বোলারদের ভালো পারফরম্য়ান্স। শেষ অবধি গুরুত্বপূর্ণ লিড নিয়েছে বাংলা। বাঁ হাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিকের ৪ উইকেট এবং শাহবাজ ও আকাশ দীপের তিনটি করে উইকেটের সৌজন্যে উত্তরাখণ্ডকে ২৭২ রানে অলআউট করে বাংলা। ব্যাটিংয়ে বাংলার ওপেনিং জুটির টানা ব্যর্থতা। কোনও একজন ভরসা দিলেও জুটিতে সাফল্য আসছে না। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাই। প্রথম বলেই ফিরলেন মেকশিফ্ট ওপেনার সায়নশেখর মণ্ডল। তবে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভরসা দিচ্ছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং সুদীপ ঘরামি। তৃতীয় দিনের শেষে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৪৮ রান যোগ করেছে তারা। অভিমন্যু এবং সুদীপ ঘরামি দু-জনই ২৪ রানে ক্রিজে রয়েছেন। সব মিলিয়ে বাংলা এগিয়ে ১৬৩ রানে।