কলকাতা: জাতীয় টিম থেকে বাদ পড়ার আগে বিতর্কের ঝড় বয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন ফর্ম না বয়স, একজন ক্রিকেটারকে বিচার করার দিক কী হতে পারে? বয়স যদি বেশিও হয়, ফর্ম কি তা হলে বিচার্য হবে না? এই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত ছিল ভারতীয় ক্রিকেটমহল। ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) আইপিএলে (IPL) পা রেখে বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর কাছে বয়স শুধুই সংখ্যা। যতই ৩৬ হোক না কেন, ফর্মের বিচারে তিনি ৩০-ও পার করেননি। ভারতীয় টিমের প্রাক্তন কোচ গ্যারি কার্স্টেন দুরন্ত ঋদ্ধিকে লম্বা সার্টিফিকেট দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, গুজরাত টাইটান্সের অন্যতম সম্পদ ঋদ্ধি। সেই ঋদ্ধি আবার ফিরলেন বাংলার রঞ্জি টিমে। নকআউট পর্বের জন্য সোমবার সন্ধ্যেয় রঞ্জি দল বানাতে বসেছিলেন বাংলার নির্বাচকরা। শুভময় দাসরা নির্দ্বিধায় তুলে রাখলেন শিলিগুড়ির পাপালিকে।
নীরবতাই ঋদ্ধিমান সাহার সব চেয়ে বড় অস্ত্র। চিরকাল কিপিং গ্লাভস কিংবা ব্যাট হাতেই জবাব দিয়েছেন। ‘নতুন প্রজন্মের দিকে তাকানো উচিত’, এই যুক্তিতে ভারতীয় টেস্ট টিম থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ঋষভ পন্থের পরবর্তী কিপার হিসেবে কেএস ভরতদের দেখে নিতে চায় জাতীয় নির্বাচকমণ্ডলী। এই সিদ্ধান্ত যে একেবারেই যুক্তিহীন ছিল, গুজরাতের হয়ে প্রতি ম্যাচে বুঝিয়ে দিচ্ছেন ঋদ্ধিমান। উইকেটের পিছনে তিনি বরাবরই বিশ্বস্ত। ব্যাট হাতেও এখন সোনা ফলাচ্ছেন আইপিএলে। সেই ঋদ্ধিকে বাংলা টিমে ফেরানো যে যুক্তিসঙ্গত, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। জাতীয় টিম থেকে বাদ পড়তে পারেন, অনুমান করে বাংলার হয়ে রঞ্জি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋদ্ধি। তা যে কিছুটা অভিমান করেই তাও বলেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা।
এই মরসুমে রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার পারফরম্যান্স খুব ভালো। একের পর এক ম্যাচ জিতে মূল পর্বে উঠেছে টিম। কোচ অরুণ লাল ও নির্বাচকরা চেয়েছিলেন নকআউট পর্বে ঋদ্ধির মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা যেন টিমে থাকেন। আর সেই কারণেই ঋদ্ধিকে ফেরানো হল। একইসঙ্গে বাংলা টিমে এলেন ভারতের সিনিয়র পেস বোলার মহম্মদ সামিও। তবে সামি এবং ঋদ্ধির সঙ্গে নির্বাচকদের এখনও কোনও কথা হয়নি। বাংলার নির্বাচন কমিটির প্রধান শুভময় বলেন, ‘রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলার। তাই পূর্ণশক্তির দল গড়া হয়েছে। বোর্ড ছাড়লে সামিকেও আমরা খেলাতে পারি।’