ইন্দোর: কাপ আর ঠোঁটের মাঝে দূরত্ব ঘোচাতে চায় বাংলা (Bengal)। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে এই ফারাক রয়ে গিয়েছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচাতে বাংলার সামনে আর দুটো ম্যাচ। বলা যেতে পারে, দুটো মেগা ম্যাচই তিন দশকের বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটাতে পারে। মেসিরা পারলে, বঙ্গশিবির কেন পারবে না! সেমিফাইনালে ওঠার দিনেই বঙ্গব্রিগেডকে ভোকাল টনিকে উজ্জীবিত করেছিলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। ৩৩ বছর পর কি বাংলা পারবে রঞ্জি (Ranji Trophy) জিততে? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর মিলতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে। তার আগে জিততে হবে কঠিন লড়াই। বুধবার রঞ্জির সেমিফাইনালে মাঠে নামছেন মনোজরা। সামনে মধ্যপ্রদেশ। লড়াই বেশ কঠিন। গত বছর এই মধ্যপ্রদেশের কাছেই সেমিফাইনালে থামতে হয়েছিল বাংলাকে। আবারও আদিত্য শ্রীবাস্তবদের সামনে ঈশ্বরনরা। বিস্তারিত TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
বাংলার কাছে এই ম্যাচ বদলার। বিপক্ষের ডেরায় আবেশ খানদের হারিয়ে জবাব দিতে চান মনোজ, আকাশদীপরা। মধ্যপ্রদেশ গতবারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন। এ বারেও বেশ ছন্দে আছেন হিমাংশু মন্ত্রীরা। কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলানোর সবরকম রেসিপিই অবশ্য রয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লার দলের কাছে। ক্রিকেটারজীবনে বাইশ গজে আওয়াজ করে খেলতে বলতেন লক্ষ্মী। প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করার বার্তা দিতেন। কোচ লক্ষ্মী সেই মন্ত্রেই ছেলেদের তাতাচ্ছেন। দলে মনোজ, অনুষ্টুপদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা আছেন। স্নায়ুর চাপ সামলানোর দায়িত্ব এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাঁধেই থাকছে।
ওপেনিংয়ে অভিমন্যু ঈশ্বরনের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন করণ লাল। হোলকারের উইকেটে টার্ন রয়েছে। সেটা মাথায় রেখেই শাহবাজের সঙ্গে করণকে ভেবে রেখেছে বঙ্গশিবির। তৃতীয় স্পিনার হিসেবে থাকছেন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। তবে বাংলা সেমিফাইনালে উঠলেও, ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা ভুগিয়েছে। আবেশ খান, অনুভব আগারওয়াল, কুমার কার্তিকেয়াদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই সেটাই ভাবাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। সুদীপ ঘরামি, অনুষ্টুপ মজুমদার, মনোজ তিওয়ারিদের কাঁধে থাকছে অতিরিক্ত দায়িত্ব। ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরনও সেমিফাইনালে বড় রানের লক্ষ্যে রয়েছেন।
বাংলার পেস অ্যাটাক অন্যতম সেরা। আকাশদীপ, মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েলরা মধ্যপ্রদেশের ব্যাটিং লাইনআপে ভাঙন ধরাতে তৈরি। ভাবনা চিন্তা চলছে আকাশ ঘটককে নিয়ে। মিডিয়াম পেসার আকাশ অবশ্য শেষ ম্যাচে ভালো বোলিং করেন। তাঁর ব্যাটিংয়ের কথাও মাথায় রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলছেন, ‘মধ্যপ্রদেশ নিয়ে আমি ভাবছি না। আমি প্রথম দিন থেকে নিজের দল নিয়েই ভাবছি। ছেলেরা সবাই ভালো পারফর্ম করছে। ওদের কৃতিত্বে দল সেমিফাইনালে উঠেছে। মধ্যপ্রদেশ ম্যাচের জন্য সেরা একাদশই মাঠে নামাব।’