কলকাতা : কখনও মনে হচ্ছে এক পেশে ম্যাচ, কখনও বা আর এক পেশে। রঞ্জি ফাইনালে এক পেশে ম্যাচ হবে এমনটাই মন্তব্য় করেছিলেন ‘আত্মবিশ্বাসী’ বাংলা অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। টস হারায় ব্য়াকফুটে ছিল বাংলা। গ্রিন টপে প্রথম সেশনে বাংলাকে একের পর এক ধাক্কা দেন সৌরাষ্ট্রর দুই বাঁ হাতি পেসার। একটা সময় মনে হচ্ছিল, বাংলা ১০০-র গণ্ডিও পেরোতে পারবে না। অনেক কষ্টে বাংলার লজ্জা ঢেকেছিলেন দুই বাঁ হাতি ব্য়াটার শাহবাজ আহমেদ ও অভিষেক পোড়েল। কিন্তু চা বিরতির পরই নতুন করে বিপর্যয়। সব মিলিয়ে ১৭৪ রানেই অলআউট বাংলা। প্রথম দিনের শেষে সৌরাষ্ট্র ৮১-২। এখনও তারা পিছিয়ে ৯৩ রানে। ম্যাচে অ্যাডভান্টেজ কাউকেই রাখা যাচ্ছে না। তবে বাংলার জন্য ‘মিশন ইমপসিবল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যাচটা, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ফাইনালের মঞ্চে বেশ কিছু বিষয়ই অবাক করার মতো। বাংলা শিবির গ্রিনটপ বেছে নিয়েছিল। ব্য়াটিংয়ে সেই আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়া গেল না। টপ অর্ডারের পারফরম্য়ান্স এ মরসুমে ভালোই। তবে ভরসা দিতে পারছিল না ওপেনিং জুটি। মন্দের ভালো ছিলেন করণ লাল। বিরাট রান করতে না পারলেও অন্তত কিছুক্ষণ ক্রিজে কাটিয়ে দিতে পারছিলেন। যদিও বাংলা শিবির আরও বড় কিছু চাইছিল। তা করতে গিয়ে বিশাল ভুল হল! ফাইনালের মঞ্চে অভিষেক হল সুমন্ত গুপ্তর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আউট তিনি। টপ অর্ডারে কেউই ভরসা দিতে পারলেন না। মাত্র ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন বাংলার সমর্থকরা। শাহবাজ আহমেদ-অভিষেক পোড়েল সপ্তম উইকেটে ১০১ রান যোগ না করলে লজ্জা বাড়ত।
বাংলার বোলিং লাইন আপ গর্ব করার মতো। এ মরসুমে দারুণ ছন্দে রয়েছেন মুকেশ কুমার, আকাশদীপরা। যদিও সৌরাষ্ট্র ব্য়াটসম্য়ানরা শুরু থেকেই কাউন্টার অ্যাটাকে মন দেন। ঠিক যেন ইংল্য়ান্ডের টেস্ট খেলার ধরন ‘বাজবল’ এর মতো। হার্ভিক দেশাই-জয় গোহিল জুটি মাত্র ৪০ বলে ৩৮ রান যোগ করে। শেষ বেলায় বাংলার গ্য়ালারির গর্জন বোলারদের তাতানোর চেষ্টা করে। এর মধ্য়ে আকাশ দীপ জয় গোহিলের উইকেট নিতেই মনে হয়েছিল, ম্য়াচে ফিরতেও পারে বাংলা। যদিও বোলিং আক্রমণের নিয়ন্ত্রণহীন পারফরম্য়ান্স ভরসা দিতে পারছে না। সৌরাষ্ট্র ব্য়াটিং লাইন আপের গভীরতা অনেক। বাংলার হাতে বিকল্প একটাই, প্রথম সেশনে যত দ্রুত সম্ভব সৌরাষ্ট্রকে অলআউট করা। এর জন্য় অবশ্য লাইন লেন্থ ঠিক রেখে বোলিং করা প্রয়োজন। প্রথম দিন যা পাওয়া গেল না।