ভারতীয় ক্রিকেটই শুধু নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি তা বলছে না। ২০১৯-এর পর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে যেন সেই লেগ্যাসি বয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না বিরাট কোহলি। তার সদ্য সংযোজন ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্স। এ বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি এসেছিল বিরাটের ব্যাটে। ঘরের মাঠে সব মিলিয়ে পাঁচ টেস্টের ১০ ইনিংসে মাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি। আর একটা ৪৭ রানের ইনিংস। এমন হতাশার পারফরম্যান্সের পর অনেকেই মনে করছেন, বিরাটের সময় শেষ। অস্ট্রেলিয়া সফরেই হয়তো টেস্ট কেরিয়ারে ইতি হয়ে যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার অবশ্য মনে করছেন, এখনই বিরাটকে বিচারের সময় আসেনি।
আগামী ২২ নভেম্বর শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম বার সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। বিরাট কোহলির নেতৃত্বেই সেই ইতিহাস। ক্যাপ্টেন এবং ব্যাটার দুই ভূমিকাতেই সাফল্য পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। পরিস্থিতি এ বার আলাদা। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রিকি পন্টিং অবশ্য বলছেন, ‘আগেও বলেছি, বিরটকে নিয়ে আবারও বলছি। সেরা ক্রিকেটারকে নিয়ে এখনই প্রশ্ন তোলার সময় আসেনি। বর্তমান ক্রিকেটে ওই সেরা, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচে মাত্র ৯৩ রান, একটি হাফসেঞ্চুরি (৭০) করলেও অস্ট্রেলিয়ায় ভিন্ন মেজাজের বিরাট কোহলিকে দেখা যাবে, এমনটাই মনে করছেন পন্টিং। অজি কিংবদন্তির কথায়, ‘ বিরাট অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে বরাবরই ভালোবাসে। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওর রেকর্ড খুবই ভালো।’ পন্টিং আরও মনে করেন, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি থেকেই বিরাটের কেরিয়ার নতুন মোড় নেবে। তাঁর কথায়, ‘ওর কেরিয়ারে এই সিরিজই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে চলেছে। বিরাট যদি প্রথম ম্যাচ থেকেই দাপট দেখাতে শুরু করে, একবিন্দুও অবাক হব না।’