একটা ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত, দল আবারও ব্যাকফুটে। পারথ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল ও বিরাট কোহলি। ঠিক যেন সেই পথেই এগচ্ছিল পরিস্থিতি। চা বিরতির ঠিক শেষ ডেলিভারিতে লোকেশ রাহুল আউট হয়েছিলেন। বিরতির পর ক্রিজে প্রবেশ বিরাটের। সঙ্গী যশস্বী। ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছিলেন দু-জনেই। ধীরে ধীরে স্কোর বোর্ডে রান যোগ হতে থাকে। কিন্তু একটা ভুলে একদিকে যেমন যশস্বী জয়সওয়ালের সেঞ্চুরি মিস, তেমনই বিরাট কোহলিরও ছন্দপতন। পর পর দুই সেট ব্যাটারের উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে ভারত। তার সঙ্গে নাইট ওয়াচম্যানেরও উইকেট! ব্যাটিং বিপর্যয়।
দুর্দান্ত খেলছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল ও বিরাট কোহলি। বিশেষ করে বলতে হয় যশস্বীর কথা। সেঞ্চুরি ছাড়া বাকি ইনিংসগুলোতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এখানে হাফসেঞ্চুরি পেরোন। যখন ইনিংস হোল্ড করার প্রয়োজন হয়েছে, করেছেন। আবার অ্যাটাকও। ছয়ও মেরেছেন। সেঞ্চুরি আর তাঁর মাঝে দূরত্ব মাত্র ১৮ রানের। দিনের খেলার অনেকটা সময়ই বাকি ছিল। আজই সেঞ্চুরি করে ফেলতে পারলে তৃতীয় দিন আবারও একটা নতুন শুরু হতে পারত।
ওভারের শেষ বল হওয়ায় রান নেওয়ার ইচ্ছে ছিল না বিরাট কোহলির। অন্তত স্ক্রিনে দেখে তাই মনে হয়েছে। যশস্বী জয়সওয়াল মিড অনে খেলে সিঙ্গল নিতে দৌড়েছিলেন। কল করেই দৌড়। যদিও বিরাট কোহলি কলে সাড়া দিয়ে বল ফলো করেন। যশস্বী ততক্ষণে উল্টো প্রান্তে চলে এসেছেন। রান আউট হয়ে ফেরেন ৮২ রানে। যশস্বীর কলকে সম্মান দিয়ে বিরাট দৌড়তে পারতেন। বল ফলো করাটাই যে বড় ভুল হয়ে দাঁড়াল, বলাই যায়।
পরের ওভারেই মনসংযোগে ব্যাঘাত বিরাটেরও। অফস্টাম্পের বাইরের বল ছাড়ার পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। কিন্তু যশস্বীর আউটের পর সেই ফাঁদেই পা দিলেন। স্কট বোল্যান্ডের বোলিংয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ। ৩৬ রানে ফেরেন বিরাট কোহলি। নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা আকাশ দীপকেও কয়েক বলের ব্যবধানে ফেরান বোল্যান্ড। ১৫৩-২ থেকে দ্রুতই ১৫৯-৫! দিন শেষে ক্রিজে রয়েছেন জাডেজা ও ঋষভ পন্থ। বাউন্ডারিতে দিন শেষ করেন জাডেজা। ভারত ১৬৪-৫। এখনও পিছিয়ে ৩১০ রানে। একটা রান আউট যে কত বড় টার্নিং পয়েন্ট, এই বিপর্যয়েই পরিষ্কার।