দেরাদুন : আর একটু রান হলে ভালো হত কি? বাংলার প্রথম ইনিংস শেষে এই প্রশ্নই উঠছিল। সম্ভাবনাও ছিল। তবে লোয়ার অর্ডার ভরসা দিতে পারল না। উত্তরাকণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলা তবুও অনেকটা এগিয়ে। ব্যাটিংয়ে অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ ঘরামিদের বড় রান। বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্স। প্রথম ইনিংসে হয়তো বড় রানের লিড নিতে পারবে বাংলা। লোয়ার অর্ডার কিছুটা অবদান রাখতে পারলে আরও বড় লিডের সম্ভাবনা থাকত। বোলারদের কাজ এখনও শেষ হয়নি। উত্তরাখণ্ডের সপ্তম উইকেট জুটি বাংলাকে ভোগাচ্ছে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
বাংলা ব্য়াটিংয়ে বড় ইনিংস অভিমন্যু ঈশ্বরণের। প্রথম দিনই শতরান পূর্ণ করেছিলেন। ডবল সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন অভি। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সব মিলিয়ে ১৬৫ রানে ফিরলেন অভিমন্য়ু। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এই ইনিংসে ভরসা দিতে ব্যর্থ। তাঁর অবদান ৬৩ বলে ১৫। উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়লেন এক দিক আগলে রাখেন অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। শেষ অবধি ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৮৭ রানে। উত্তরাখণ্ডের বাঁ-হাতি স্পিনার মায়াঙ্ক মিশ্র ৬ উইকেট নেন।
বোলিংয়ে অনবদ্য শুরু হয় বাংলার। এক দিকে ঈশান পোড়েল, অন্য প্রান্ত থেকে বোলিং ওপেন করেন শাহবাজ আহমেদ। উত্তরাখণ্ডের দুই ওপেনারকেই ফেরান শাহবাজ। মাত্র ৩৮ রানে উত্তরাখণ্ডের ৩ উইকেট পড়ে। এর পর জোড়া ধাক্কা। ৪৮ রানেই ৬ উইকেট তুলে নেয় বাংলা। শাহবাজ, আকাশ দীপ এবং প্রদীপ্ত প্রামাণিক দুটি করে উইকেট নেন। মনে হয়েছিল বিশাল লিড নিতে পারবে বাংলা। সপ্তম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে কুনাল চান্ডিলা এবং অখিল সিং রাওয়াত জুটি। বাকি ৬ জনই এক অঙ্কের রানে ফিরেছেন। এই জুটি সপ্তম উইকেটে ১৪০ বলে ৫৬ রান যোগ করেছে। দ্বিতীয় দিনের শেষে উত্তরাখণ্ডের স্কোর ১০৪-৬। এখনও তারা পিছিয়ে ২৮৩ রানে। তৃতীয় দিন দ্রুত উত্তরাখণ্ড ইনিংস গুটিয়ে এই ম্যাচেও বোনাস পয়েন্টে নজর থাকবে বাংলা শিবিরে।