কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের নাম ওঁদের কাছে অজানা নয়। তবে ক্রিকেট খেলাটা খুব ভালো বোঝেন না। তাতে কী! শীতকাল, ইডেন গার্ডেন্সের আবহ এবং ক্রিকেট উৎসব। তাতে সামিল হতে ক্ষতি কী! কোম্পানির কাজে কলকাতায় রয়েছেন ক্য়ালেব, লিউরা। বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। কাজের ফাঁকেই জেনেছিলেন, কলকাতা আজ ক্রিকেটের। শীতের শহরে বাজবে ব্যাট-বলের সুর। সহকর্মীরাই বলেছিলেন, এই দিনটা উপভোগ করতে হলে কিন্তু ইডেনেই যাওয়া উচিত। একদল আমেরিকান সেই আমেজ নিতেই হাজির হয়েছিলেন নন্দনকাননে। কানায় কানায় পূর্ণ ইডেন গার্ডেন্স কী ভাবে ক্রিকেটকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠে, দেখে আপ্লুত ওঁরা। এ দেশে ক্রিকেট যে একটা ধর্ম, তাও শুনেছেন। ক্রিকেট ঈশ্বর খেলা ছেড়েছেন। তবে বর্তমান প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলির খেলা দেখার সুযোগ ছাড়া যায়! TV9Bangla-র সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সেই অভিজ্ঞতা।
ইডেনের গ্য়ালারিতে সহকর্মীদের সঙ্গে ক্রিকেটে মাতলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন। সমর্থন করছেন ভারতকেই। শুধু তাই নয়, ভারতীয় দলের জার্সি পরেই মাঠে এসেছেন তাঁরা। সঙ্গে তেরঙা। ক্রিকেট এবং ইডেন প্রসঙ্গে ক্যালেব বলছেন, ‘ক্রিকেট খুব বেশি বুঝি না। খুব যে দেখার সুযোগ পাই, তাও নয়। তবে এই পরিবেশটা কিন্তু দারুণ।’ পাশ থেকে লিউ বলে উঠলেন, ‘আমি কিন্তু রোহিত, বিরাটদের চিনি। ভারত তো বটেই সর্বত্রই ওদের ভক্ত রয়েছে।’ ক্যালেব যোগ করলেন, ‘ক্রিকেট অনেকটা আমাদের বেসবলের মতো। ব্যাট আর বলের খেলা। এত সুন্দর পরিবেশ, প্রচুর সমর্থক উৎসাহ, এর মাঝে খেলা উপভোগ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। তাই সহকর্মীর প্রস্তাবে চলে এসেছি।’
কথা বলতে বলতেই আউট রোহিত শর্মা। কিছুটা আফশোস হলেও তাঁদের চোখ চকচক করে উঠল। ক্রিজে নামছেন বিরাট কোহলি! বছরের শেষে বাংলাদেশের মাটিতে ওয়ান ডে-তে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট। বছরের শুরুতে অর্থাৎ গত ম্যাচে গুয়াহাটিতে শতরান করেছেন বিরাট। পরপর সেঞ্চুরি করা বিরাটের ব্য়াটিং দেখার সুযোগ। তাই কথা না বাড়িয়ে খেলাতেই মন দিলেন। বাকিদের মতো বিরাট-বিরাট চিৎকারেও গলা মেলালেন ক্যালেব-লিউরা। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে আমেরিকা এবং ক্য়ারিবিয়ানে। সে সময় বিরাট-রোহিতরা খেলবেন কী না, নিশ্চয়তা নেই। ইডেনেই বিরাটের ব্য়াটিংয়ের স্বাদ নিতে চেয়েছিলেন। যদিও সেই আশাও পূর্ণ হল না। বিরাটও ফিরলেন মাত্র ৯ রানেই।