মরসুমের প্রথম হার। রাজস্থান রয়্যালসও আর অপরাজিত রইল না। ম্যাচের যেন দুটো অধ্যায়। প্রথম ৩৬ ওভার এবং পরবর্তী ৪ ওভার। প্রথম ৩৬ ওভার ম্যাচ পুরোপুরি রাজস্থান রয়্যালসের নিয়ন্ত্রণে। শেষ চার ওভারে চিত্রটা এ ভাবে বদলে যাবে, কেউই হয়তো ভাবেননি। শুভমন গিল ক্রিজে থাকা অবধি তবু রাজস্থান শিবিরে চাপ ছিল। হাতে উইকেট থাকলে শেষ চার ওভারে তবু ৫৯ রান তোলা সম্ভব। শুভমন আউট হতেই যেন জয়ের গন্ধ পেয়ছিল রাজস্থান। শেষ বল অবধি ম্যাচ গিয়ে হারটা বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও।
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। বরং গুজরাট হারলে টার্নিং পয়েন্ট ধরা যেত কেশব মহারাজের পরামর্শ। বাউন্ডারি খেয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন রাজস্থানের লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারছিল রাজস্থান। এমন সময় অভিজ্ঞ স্পিনার কেশব মহারাজ এবং যুজবেন্দ্র চাহালকে পাশাপাশি দেখা যায়। চাহালের কানে কানে কিছু বলছেন মহারাজ। হাত দিয়ে মুখ ঢাকা। ফলে কী কথা হয়েছে, বোঝার উপায় নেই। পরের বলটি ওয়াইড করেন চাহাল। স্টেপ আউট করেছিলেন শুভমন। স্টাম্পিংয়ে ভুল করেননি সঞ্জু।
হঠাৎ এত কিছুর পর সঞ্জুও বাকরুদ্ধ। ম্যাচ শেষে সঞ্জুকে জিজ্ঞেস করা হয়, কোথায় হারলেন বলে মনে হয়? হেসে উত্তর দেন, ‘আর কী, শেষ বলে।’ এরপরই যোগ করলেন, ‘সত্যি বলতে, এই মুহূর্তে আমার পক্ষে বলা কঠিন। হারের পর একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে কোথায় হারলাম বলা মুশকিল। হতে পারে, কয়েক ঘণ্টা পর আমি কারণগুলো বলতে পারব। গুজরাট টাইটান্সকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা দুর্দান্ত খেলেছে। এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেব এবং এগিয়ে যাব।’