কলকাতা: ১৯৯৬ সালে শেষ বার কোনও বড় টুর্নামেন্ট হয়েছিল সে দেশে। ২৮ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আর ক্রিকেট জৌলুস ফেরেনি পাকিস্তানে। আগামী বছর দীর্ঘদিন পর আইসিসি টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা। পরিস্থিতি যা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ওয়াঘার ওপারে হবে কিনা, জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। ঘোর অনিশ্চয়তার কারণ কী? ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক সমীকরণ। ভারতে নানা সময় জঙ্গিহানা থেকে পুলওয়ামা— পাকিস্তান একাধিক কারণে অভিযুক্ত। ভারত যে কারণে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে। আইসিসি টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই টিমের দেখাও হয় না ইদানীং। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারত যে পাকিস্তানে যাবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে হলে হাইব্রিজ মডেলই বাছতে হবে। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। পাকিস্তান আয়োজক হলেও হাইব্রিড মডেলে খেলা হয়েছিল। ভারতের যাবতীয় ম্যাচ হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। তবে এ বারের পরিস্থিতি অন্য। স্টেডিয়াম তৈরি করা থেকে টিভিসত্ত্ব, বিপুল অর্থ খরচ করে ফেলেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অন্যত্র সরাতে চাইছে না তারা। সেখানেই তৈরি হয়েছে অন্য সম্ভাবনা, পাকিস্তান কি টুর্নামেন্ট আয়োজন থেকে সরছে? যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সরে, কোথায় হবে?
আইসিসির সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের। বিসিসিআই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানে খেলতে যাবে না ভারত। আইসিসি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুবাইয়ে ভারতের ম্যাচ আয়োজন করার জন্য অনুরোধ করেছে পিসিবিকে। তা একেবারেই রাজি নয় ওই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। পুরো টুর্নামেন্ট নিজেদের দেশে করার ব্যাপার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই কারণেই পাকিস্তান থেকে টুর্নামেন্ট সরানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যা শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে পারে আট দলীয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে এই খবরে এখনও সিলমোহর পড়েনি। জয় শাহর আইসিসি কী চাইছে, জরুরী এ ক্ষেত্রে। হাতে সময় থাকলেও চলতি বছরেই এ নিয়ে নিষ্পত্তি করে ফেলতে চাইছে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।