কলকাতা: আইপিএলে মাত্র ২ মরসুম খেলার অভিজ্ঞতা। আর তাতেই বাজিমাত করেছে গুজরাট টাইটান্স। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন ও দ্বিতীয় মরসুমে রানার্স আপ হয়েছে গুজরাটের দলটি। হার্দিক পান্ডিয়ার হাত ধরে আইপিএলের মঞ্চে অভিষেক হয়েছিল গুজরাটের। সেই হার্দিকই মুখ ফিরিয়েছেন টাইটান্সের থেকে। হার্দিকের আইপিএল কেরিয়ারে এসেছে নাটকীয় মোড়। এ বার গুজরাট নয়, মুম্বইয়ের মসনদে বসেছেন হার্দিক। আর এরপরই শুভমন গিলের কাঁধে এসে পড়েছে গুরুদায়িত্ব। নতুন বছরে গুজরাটকে নেতৃত্ব দেবেন গিল। হার্দিকের মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের পরিবর্ত কি হয়ে উঠতে পারবেন গিল? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এ বার সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন গুজরাট টাইটান্সের হেড কোচ আশিষ নেহরা। কী বলছেন তিনি? TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বয়স মাত্র ২৪। তবে বয়সের থেকে সাফল্যের ভার অনেকটাই বেশি গিলের। তাই এ বার হার্দিকের পরিবর্ত হিসেবে গিলেই আস্থা রেখেছে গুজরাট। দলে কেন উইলিয়ামসনের মতো অভিজ্ঞ অধিনায়ক থাকা সত্ত্বেও কেন গিলকে বাছল গুজরাট টাইটান্স? আইপিএলের অন্দরে বেশ কিছুদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছিল এই প্রশ্ন । এ বার সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন গিলের হেড কোচ নেহরা। নিলামের পর এক অনলাইন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “মানছি অভিজ্ঞতা ও প্রতিভার বিচারে হার্দিকের মতো ক্রিকেটারের পরিবর্ত খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু শেষ তিন, চার বছরে নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছে গিল, তা ভুললেও চলবে না। বয়স কম হলেও, ওর মধ্যে ভরপুর প্রতিভা রয়েছে। আমরা সবদিক ভেবেই ওকে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছি। ”
ফলের পিছনে দৌড়াতে পছন্দ করেন না নেহরা। তাই সাফ জানিয়ে দেন, ফলের পিছনে ছুটতে চান না। অধিনায়কের কাঁধে অনেক বড় ,দায়িত্ব থাকে। সেই দায়িত্বে একশো শতাংশ পাশ করবেন গিল। দলকে সঠিক পথ দেখাবে সে, এটাই বিশ্বাস গুজরাট কর্তৃপক্ষর। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে আইপিএলের মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেন গিল। ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কেকেআরের হয়ে খেলেছেন। ২০২২ সালে যোগ দেন গুজরাট টাইটান্সে। এ বার গুজরাটকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। গিলের ব্যাটের ঝলক দেখেছে ক্রিকেটমহল। এ বার অধিনায়কের ভূমিকায় কতটা সাবলীল হবেন ভারতের তারকা ওপেনার, তা দেখার আশায় মুখিয়ে রয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।