ICC ODI World Cup 2023: গ্যালারি জুড়ে রাচিন রব, আবেগে ভাসছেন কিউয়ি তারকার বাবা

Rachin Ravindra; রাচিনের বাবা আসলে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ছিলেন। কর্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডে যান। সেখানেই জন্ম রাচিনের। রবি কৃষ্ণমূর্তির ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা বরাবর। ওয়েলিংটনে একটি ক্রিকেট ক্লাবও চালান। সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়ের খেলার বড় ভক্ত তিনি। সচিনের খেলা দেখতে মাঝে মধ্য়েই মাঠে পৌঁছে জেতেন। সচিনকে নিয়ে মানুষের মধ্যে উন্মাদনার সেই ছবি আরও এক বার চোখের সামনে ভেসে উঠল তাঁর

ICC ODI World Cup 2023: গ্যালারি জুড়ে রাচিন রব, আবেগে ভাসছেন কিউয়ি তারকার  বাবা
রাচিন রবীন্দ্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2023 | 3:21 PM

নয়াদিল্লি: বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন ছেলে একদিন মস্ত বড় ক্রিকেটার হোক। ছেলে বাবার সেই কথা রেখেছে। এখন দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপের মঞ্চ কাঁপাচ্ছে সে। তেইশের বিশ্বকাপের অন্য়তম সেরা নাম তরুণ কিউয়ি ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র (Rachin Ravindra)। অভিষেকেই জাত চিনিয়ে চর্চায় উঠে এসেছেন ভারতীয় বংশদ্ভুদ এই তারকা। বিশ্বকাপের মঞ্চে ছেলে খেলছে, আর বাবা সেখানে না উপস্থিত থাকলে হয়!তাই নিউজিল্যান্ড থেকে বেঙ্গালুরু এসে পৌঁছেছিলেন রাচিনের বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি। চিন্নাস্বামীর গ্যালারিতে বসে ছেলের খেলা দেখে আবেগে ভাসছেন তিনি। একসময় তাঁর প্রিয় তারকা সচিনকে নিয়ে গ্য়ালারি জুড়ে যেমন উন্মাদনা চোখে পড়ত, রাচিনকে নিয়েও তেমনই মেতেছে দর্শক। বাবার কাছে এর থেকে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে! দেশে ফিরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন রাচিনের বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি। কী বলছেন তিনি? বিস্তারিত TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

রাচিনের বাবা আসলে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ছিলেন। কর্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডে যান। সেখানেই জন্ম রাচিনের। রবি কৃষ্ণমূর্তির ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা বরাবর। ওয়েলিংটনে একটি ক্রিকেট ক্লাবও চালান। সচিন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়ের খেলার বড় ভক্ত তিনি। সচিনের খেলা দেখতে মাঝে মধ্য়েই মাঠে পৌঁছে জেতেন। সচিনকে নিয়ে মানুষের মধ্যে উন্মাদনার সেই ছবি আরও এক বার চোখের সামনে ভেসে উঠল তাঁর। তবে এ বার নিজের ছেলের খেলা দেখে। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যখন বিশ্বকাপের তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করেন কিউয়ি তারকা, তখন গ্যালারি জুড়ে শুধুই ‘রাচিন, রাচিন…’রব। এক লহমায় এই মুহূর্ত যেন অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল কৃষ্ণমূর্তিকে। ওয়েলিংটনে বসে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন, এটা একটা আলাদাই অনুভূতি। একজন বাবা হয়ে এর থেকে বড় পাওনা আর কী হতে পারে!তাঁর কথায়, “ওই মুহূর্তটা আমায় অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। যাঁরা আমাত মতো ভাগ্যবান, সচিনের খেলা দেখেছেন তাঁরা জানেন সেই সময় স্টেডিয়ামের চেহারাটা। আমিও মন থেকে সচিনের হয়ে গলা ফাটাতাম। আজ, আমার ছেলের জন্য় সকলে গলা ফাটাচ্ছে এটা দেখে সত্যি গর্ব হচ্ছিল এই অনুভূতিটার সঙ্গে আর কোনও কিছুর তুলনা হয় না।”

বুধবার, সেমিফাইনালে তাঁর দেশ ভারতের বিরুদ্ধে লড়বে ছেলে। সেই সময় মাঠে উপস্থিত থাকবেন তাঁর প্রিয় তারকা রাহুল দ্রাবিড়, উপস্থিত থাকতে পারেন মাস্টার ব্লাস্টারও। তাঁদের সামনেই খেলবে ছেলে। এটা ভেবে আরও আবেগে ভাসছেন কৃষ্ণমূর্তি। তবে সেমিফাইনালের ফলাফল নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। ছেলে ভালো খেলুক, এটুকুই আশা তাঁর।