জোহানেসবার্গ: দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটে রানের খরা। সমালোচনার পর সমালোচনা। সব সহ্য করে চলেছেন ভারতের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। জো’বার্গে তবুও ভারতকে কার্যত খাদের ধার থেকে উদ্ধার করেছে, সেই চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara) ও অজিঙ্ক রাহানে (Ajinkya Rahane) জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন দু’জনই অর্ধশতরান করে মাঠ ছেড়েছেন। কিন্তু তাতেই এই জুটিকে নিয়ে সমালোচনা থেমে যাচ্ছে না। দু’জনের রানের সংখ্যাটা তিন অঙ্কের হলে, সেটাই হত আসল জবাব। তাও যে কথায় বলে, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। সেভাবেই এগোচ্ছে এই জুটি। জো’বার্গে হাফসেঞ্চুরি করে পূজারার মুখে শোনা গেল, আত্মবিশ্বাসের কথা।
রাহানে-পূজারা জুটির ১১১ রানের পার্টনারশিপ এবং হনুমা বিহারির অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংসের সুবাদে প্রোটিয়াদের কাছে ২৪০ রানের টার্গেট রেখেছে ভারত। বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিনের খেলা এখনও শুরু করা যায়নি। তৃতীয় দিন ২ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্য়াচ জিততে এলগারদের চাই ১২২ রান এবং ইতিহাস গড়তে হলে ভারতের চাই ৮টি উইকেট। তৃতীয় দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে পূজারা বলেন, “বিশেষ করে চ্যালেঞ্জিং পিচে ব্যাটার হিসেবে কিছু রান পাওয়া সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে আপনি বড় রান করতে পারবেন না। এটা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু আমি অতিরিক্ত কিছু করিনি। অজিঙ্কর সঙ্গে জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দিনের শেষে শুধু আমার রানটাই গুরুত্বপূর্ণ নয়, দলের মোট রানটাই আসল।”
তবে ভারতীয় ক্রিকেটমহলে কিন্তু পূজারা-রাহানে জুটির ফর্মে না থাকা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। কিছুদিন আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, পূজারা-রাহানের জন্য এটাই হয়তো শেষ সুযোগ হতে চলেছে। কিংবদন্তি ক্রিকেটারের এই ধরণের মন্তব্য কি পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে? এ বিষয়ে পূজারা বলেন, “দেখুন, আমি যখনই সানি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি সমর্থন করেছেন। আপনি যখন খারাপ ফর্মের মধ্য দিয়ে যান, তখন প্রশ্ন করা হবেই। কিন্তু আমরা জানি আমরা যোগ্য প্লেয়ার। ম্যানেজমেন্ট আমাদের উপর বিশ্বাস দেখিয়েছে এবং আমরা যদি ভালো করতে থাকি তবে জিনিসগুলি আরও ভালো হতে পারে।”
রানের খরা চললেও ‘পুরানে’ জুটিতে আস্থা রেখেছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। পূজারা এ ব্যাপারে বলেন, “টিম ম্যানেজমেন্ট সব সময় সমর্থন করে এসেছে এবং আমার ফর্ম নিয়ে কথাবার্তা হলেই সবাই বলেছে, এই ধরণের বাইরের কথাবার্তায় কান না দিতে। এমন সময় আসে যখন কোনও ক্রিকেটার খুব বেশি রান পায় না। কিন্তু কেউ যদি সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে, তা হলে অবশেষে রান আসবেই এবং সেটাই হয়েছে।”