AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cricket World Cup: ঠাকুমা হাসপাতালে ভর্তি, জানানোই হয়নি আমনজ্যোৎকে!

Amanjot Kaur, Cricket World Cup: আমনজ্যোৎ বিশ্বকাপ খেলার সময় জানতেনই না তাঁর ঠাকুমা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি। মেয়েকে যাতে বিশ্বকাপ থেকে হারিয়ে না যান, পরিবার গোপন রেখেছিলেন ঠাকুমার খবর।

Cricket World Cup: ঠাকুমা হাসপাতালে ভর্তি, জানানোই হয়নি আমনজ্যোৎকে!
ঠাকুমা হাসপাতালে, জানতেন না আমনজ্যোৎImage Credit: Alex Davidson-ICC/ICC via Getty Images
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2025 | 3:01 PM
Share

মেয়েরা আবার খেলে নাকি! পরিবারের কাছে বায়না। মেনে নিলেও পড়শিরা মানে কি? স্বপ্নের তাড়নায় চার দেওয়াল থেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়া মেয়ের পিঠে কিটব্যাগ দেখলে কী বলে? যে মাঠে প্র্যাক্টিসে যায়, সেখানে কি পরিকাঠামো আছে? আর্থিক অনটন পার করে চুপিসাড়ে স্বপ্নের পিছু পিছু হাঁটা যায়? ছেলেদের টিমে খেলতে খেলতে বড় হওয়া। কিন্তু ছেলেদের সমান হয়ে ওঠা যায় কি? ধামাচাপা দিয়ে রাখা এমন হাজারো প্রশ্ন যেন এতদিনে মাথা তোলার সুযোগ পেল। মেয়েরা ইতিহাস গড়েছেন যে! অভিনন্দনের সুনামি উঠেছে। পুরস্কারে ভাসবেন সবাই। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে ওঠা নিয়ে চর্চা হবে। তারপর? প্রথম ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জেতা মেয়েরা কি সত্যি বিপ্লব আনতে পারবেন?

প্রশ্ন ছিল। আছে। থাকবেও। হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষ, শেফালি ভার্মা, দীপ্তি শর্মারা তারকা হয়ে গিয়েছেন মুম্বইয়ে ইতিহাস গড়ে। কিন্তু তাঁদের লড়াই কি মনে থাকবে? এক-একজন ক্রিকেটার যেন এক-একটা সিনেমার জন্ম দিয়ে গেলেন। এই টিমের এক অলরাউন্ডার আমনজ্যোৎ কৌর বিশ্বকাপে খেলেছেন সাতটা ম্যাচ। ব্যাট হাতে করেছেন ১৪৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পর পর তিনটে চার মেরে জিতিয়েছিলেন ভারতকে। এখানেই শেষ করেননি বল হাতে নিয়েছেন ৬টা উইকেট।

এই আমনজ্যোৎ বিশ্বকাপ খেলার সময় জানতেনই না তাঁর ঠাকুমা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি। মেয়েকে যাতে বিশ্বকাপ থেকে হারিয়ে না যান, পরিবার গোপন রেখেছিলেন ঠাকুমার খবর। আমনজ্যোতের বাবা ভূপিন্দর সিং কাপ জেতার পর সত্যিটা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘আমনজ্যোতের সবচেয়ে বড় শক্তি আমার মা ভাগবন্তী। মোহালিতে আমাদের আবাসনের রাস্তায় ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছে। ওর ক্রিকেট খেলার শুরু থেকেই মা আগলে রাখত। মাঠ বা পার্কের বাইরে বসে থাকত। মা ওর খুব কাছের মানুষ। যে কারণে ওকে বলিনি, মা হাসপাতালে ভর্তি।’

শুধু স্রেফ স্বপ্ন দিয়ে কি সাফল্য মেলে? না। এই রসায়নে অনেক কিছু লাগে। মোহালিতে কাঠের কাজ করে মেয়েকে ক্রিকেট খেলতে পাঠানো বাবা ভূপিন্দর সিং জানেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে একমাস পরে থাকা ঠাকুমা ভগবন্তী কৌর জানেন। এঁরা জানেন বলেই আমনজ্যোৎদের জন্ম হয়। ইতিহাস তৈরির জন্য।