অভিষেক সেনগুপ্ত
ওয়ান ডে ফরম্যাটে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার বাবর আজম। যদিও তাঁর ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে নানা সময় প্রশ্ন উঠেছে। তথাকথিত ছোট দলের বিরুদ্ধে কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তাঁর পারফরম্যান্স নজর কাড়ার মতোই। সেটা নেতৃত্ব হোক কিংবা ব্যাটিং। কিন্তু বড় টুর্নামেন্টে! অধিনায়ক হিসেবে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁর পারফরম্যান্স এবং দলের ফল ভালো হয়নি। সদ্য এশিয়া কাপেও একই পরিস্থিতি হয়েছে। গত বারের এশিয়া কাপেও। ক্যাপ্টেনকে সফল তখনই বলা হবে, যখন তিনি কোনও ট্রফি জিতবেন। এ বার ক্যাপ্টেন বাবর আজমের ওপর চাপ যে অনেক বেশি, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে পাকিস্তান অধিনায়ক জানিয়েছেন, তিনি এক ম্যাচের ক্যাপ্টেন নন! কেন আসছে এই প্রসঙ্গ? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ। প্রথম বার ভারতে খেলছেন বাবর আজমরা। এই স্কোয়াডের মাত্র দু-জন ক্রিকেটার অতীতে ভারতে এসেছেন। মাঠের মাইরে অতিথি আপ্যায়ণ দুর্দান্ত। তাই বলে ম্যাচের সময় যে পরিস্থিতি অন্যরকম থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। বিশ্বকাপের মঞ্চ, এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। শুধুমাত্র বিরাটদের বিরুদ্ধেই খেলতে হবে তা নয়। পুরো গ্যালারিও থাকবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ০-৭ পিছিয়ে পাকিস্তান। আরও একটা মহারণের আগে পাকিস্তান অধিনায়ককে একঝাঁক প্রশ্ন সামলাতে হল। বেশির ভাগই ছিল ৭-০ স্কোর লাইন নিয়ে।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে মনে করিয়ে দেওয়া, এটা এমনই একটা ম্যাচ, যেখানে আপনার দেশে বলা হয়, যে কোনও প্রতিপক্ষের কাছে হারুন, কিন্তু ভারতের কাছে নয়। একই ভাবে আমাদের এখানেও বলা হয়, পাকিস্তানের কাছে হেরো না। এটা এমনই একটা ম্যাচ, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কোনও অধিনায়ক নেতৃত্বও হারাতে পারেন। বাবরকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনার মধ্যেও কি সেই চাপ রয়েছে? টিম মিটিংয়ে সতীর্থদের কী বলবেন?’ বাবর আজম বলেন, ‘একটা বিষয়, আমি কোনও সময়ই নেতৃত্ব হারানো নিয়ে চিন্তিত নই। এই ম্যাচের জন্য নেতৃত্ব হারাতে পারি, এই ভয় আমার মধ্যে অন্তত নেই।’
ঢোঁক গিলে বাবর আরও যোগ করেন, ‘আমার ভাগ্যে যা লেখা আছে, তাই হবে। আমি খেলব। আমার যা যোগ্যতা, তা পাব। এই ম্যাচের জন্য আমাকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি, সুতরাং এই একটা ম্যাচের জন্য ক্যাপ্টেন্সি যাবেও না। এটা আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।’