লখনউ: মুসকুরাইয়ে…। লখনউতে হাসি ফোটারই নাকি কথা প্রত্যেকের! অস্ট্রেলিয়া টিমের হাসি আগেই উধাও হয়েছে। ১৯৯২ সালের পর প্রথম বার হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। চেন্নাইয়ে টিম ইন্ডিয়াকে চাপে ফেললেও বিরাট কোহলি-লোকেশ রাহুল জুটি মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে অজিদের। সঙ্গে যেন হাসিটাও কেড়ে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার লখনউয়ে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কয়েক সপ্তাহ আগেই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলেছে দু-দল। লখনউয়ে অবশ্য় আরও একটা প্রতিপক্ষ রয়েছে, এখানকার পিচ। কী বলছেন অজি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত সংস্করণের পরই লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামের পিচ পুরোপুরি বদলে ফেলা হয়। পিচ নিয়ে এতটাই জলঘোলা হয়েছিল, কিউরেটরকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বকাপের আগে সব রেডি করা যাবে কিনা, সেটাও প্রশ্ন ছিল। তবে সব কিছু ঠিকঠাকই হয়েছে। কিন্তু পিচের চরিত্র কেমন হবে! তা অজানা। চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক পিচে খাবি খেয়েছেন অজি ব্যাটাররা। গত জানুয়ারিতে ভারত-নিউজিল্য়ান্ড টি-টোয়েন্টি এতটাই লো-স্কোরিং হয়েছে, পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সব বদলে ফেলা হলেও, মনে করা হচ্ছে পিচ এখনও স্পিন সহায়কই থাকবে।
অচেনা, অজানা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ম্যাক্সওয়েল বলছেন, ‘আমাদের কাছে সত্যিই অচেনা পরিস্থিতি। যতদূর মনে পড়ে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি টি-টোয়েন্টি ৯৯ রান তাড়া করতে নেমেও প্রবল চাপে পড়েছিল ভারত। পুরো মাঠের জন্যই এটা নতুন শুরু। দেখা যাক, পরিস্থিতি কেমন থাকে। পরিস্থিতি যেমনই হোক, আমরা প্রস্তুত। হতেই পারে, এখানকার পরিস্থিতি আমাদের সাহায্যই করল!’
চেন্নাইয়ের পরিস্থিতি যে কঠিন হবে, আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন অজি প্লেয়াররা। তার জন্য প্রস্তুতিও সেরেছিলেন। তাতেও অবশ্য খুব লাভ হয়নি। কেন না, স্পিনের ক্ষেত্রেও ধারাবাহিকতা ছিল না। কোন বল টার্ন করবে, কোনটা করবে না, বোলারের পক্ষেও বোঝা সম্ভব ছিল না। ব্যাটার কী করে বুঝবেন!