চেন্নাই: এক দশকের বেশি সময়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেন রবীন্দ্র জাডেজা। আইপিএলের সৌজন্যে চেন্নাই তাঁর দ্বিতীয় শহর। এখানে কোন লাইন-লেন্থে বোলিং করতে হবে, জাড্ডুর কাছে নতুন নয়। ভারতীয় বোলারদের দাপটে অস্ট্রেলিয়া অলআউট মাত্র ১৯৯ রানেই। অস্ট্রেলিয়ার আধডজন উইকেট নিয়েছে ভারতের স্পিনত্রয়ী। এর মধ্যে সবচেয়ে সফল রবীন্দ্র জাডেজা। ১০ ওভারে ২টি মেডেন, তিনটি উইকেট। চিপকে ‘টেস্ট ম্যাচের পিচ’এ খেলা হয়েছে বলে মত জাড্ডুর। চিপকের টার্নিং পিচে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ কোনটা, সাংবাদিক সম্মেলনে সেটাই বোঝালেন জাডেজা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে বেশ কয়েক বার উঠে এসেছে টেস্টের কথা। বিরাট কোহলি অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ৭৫ বলে। শেষ অবধি ১১৬ বলে ৮৫ রানে ফেরেন। লোকেশ রাহুলের হাফসেঞ্চুরি হয় ৭২ বলে। ১১৫ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। রাহুলও জানিয়েছে, ক্রিজে আসার বিরাট তাঁকে বলে, টেস্ট ম্যাচের মতো খেলতে হবে। বিরাট-রাহুলের শুরুর স্ট্রাইকরেট এবং সার্বিক পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট। এ বার জাডেজার মুখেও সেই প্রসঙ্গ।
চিপকের পিচে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে জাডেজা বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিল উইকেট সোজা বল করব। তারপর টার্ন হলে ভালো, আর না হলে তা আরও বেশি কার্যকর হতে পারে। সৌভাগ্য বশত, স্মিথের আউটে বল অনেক বেশি টার্ন হয়েছে। আমার মনে হয়েছিল, এটা পুরোপুরি টেস্ট ম্যাচের পিচ। সুতরাং, কোনও পরীক্ষায় না গিয়ে উইকেট সোজা বোলিং উচিত বলেই মনে হয়েছিল।’
একাদশে আরও দুই স্পিনার ছিলেন। ফলে জাডেজার ভূমিকা কী ছিল? তাঁর উত্তরে হাসির রোল। বলছেন, ‘কোনও ভূমিকা নেই। যত দ্রুত সম্ভব বেশি উইকেট নিতে চেয়েছিলাম। হতে পারে, বাকি দুই স্পিনারেরও একই ভাবনা ছিল। এমন ভাবনা যদি থাকে, তাতে কোনও ভুল নেই। সবাই যদি ভাবে সেই বেশি উইকেট নেবে, তাহলেই তো প্রতিপক্ষ দ্রুত অলআউট হয়ে যাবে।’
স্টিভ স্মিথের উইকেটটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলে মনে করেন জাড্ডু। বলছেন, ‘স্টিভ স্মিথের মতো ব্যাটার আউট হওয়া। সেটাই টার্নিং পয়েন্ট। নতুন কারও পক্ষে ক্রিজে নেমেই স্ট্রাইক রোটেট করা সহজ ছিল না। ওরা ১১০-২ ছিল, স্মিথের আউটের পরই ১৯৯ রানে অলআউট।’