কলকাতা: শুধুই হতাশা, নাকি লজ্জা! একটা সময় ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করেছে। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপেরই যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি! সরাসরি যোগ্যতা অর্জন দূর অস্ত। এ বার যোগ্যতা অর্জন পর্বেই বিদায়। ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে কোনওরকমে জায়গা করে নিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের এই পরিস্থিতির শিকড় অনেক গভীরে। দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বনিবনা না হওয়া, আর্থিক সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। যার ফল হয়তো এ বার ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা! বিশ্বকাপ শুরুর পর প্রথম দু-বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও দু-বার খেতাব জিতেছে। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ঐতিহ্য এখন ধুলোয়। কী বলছেন সে দেশের দুই কিংবদন্তি? বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
গর্ডন গ্রিনিজ এবং জোয়েল গার্নার। তাদের পরিচয় দেওয়ার হয়তো প্রয়োজন পড়ে না। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ভারতের রূপকথার পথে বাধা ছিলেন এরাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন ওপেনার গর্ডন গ্রিনিজ এবং ব্যাটারদের ত্রাস পেসার জোয়েল গার্নারের সাক্ষাৎকার নিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ তারা জানেন। কিন্তু যোগ্যতা অর্জন করতে না পারা! এতটাই হতাশ, দেশের ক্রিকেট পরিস্থিতি নিয়ে যেন কথা বলতেই মাথা নীচু হয়ে যায়। গর্ডন গ্রিনিজ বলছেন, ‘এখন আর সে ভাবে ক্রিকেট দেখি না। বিশেষ করে সাদা বলের খেলা। আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারলে খুব কষ্ট হত। এখন কিছু অনুভূতি হয় না। দেশের খেলার মান কতটা কমেছে, তা তো জানি। তবে এটা ঠিক, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া বিশ্বকাপ! কল্পনাই করা যায় না।’
কিংবদন্তি পেসার জোয়েল গার্নারের গলাতেও যেন একই সুর। বলছেন, ‘আমরা আর আমাদের মতো নেই। তাই নয় কি! আগে দেশের হয়ে খেলা গর্ব ছিল। আমাদের জন্য সেটাই সবচেয়ে বড় প্রেরণা। এখনকার তরুণ ক্রিকেটাররা টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতেই বেশি আগ্রহী। ওদেরও দোষ দেওয়ার নেই। প্রত্যেকেই আর্থিক নিরাপত্তা চায়। আমাদের প্রজন্ম বিশাল অর্থ উপার্জন করত, তা নয়। আমরা মূলত কাউন্টি ক্রিকেট খেলে উপার্জন করতাম। এখন ক্রিকেটারদের কাছে বিভিন্ন পথ রয়েছে উপার্জনের। ওরা সেই পথ ব্যবহার করছে। দোষ দেওয়ার কিছু নেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার যে গর্ব, সেটা ফেরত আনতে হবে।’