ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আগামী মরসুমে অন্য জার্সিতে দেখা যাবে ঋষভ পন্থকে। মেগা অকশনে তাঁকে নিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ঋষভ পন্থকে এ বার রিটেন করেনি দিল্লি ক্যাপিটালস। মেগা অকশনে তাঁর জন্য ঝাঁপালেও শেষ অবধি প্ল্যানিং কাজ করেনি। আরটিএম ব্যবহার করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু লখনউ সুপার জায়ান্টস ফাইনাল বিড করে ২৭ কোটি। সেই দামে তাঁকে নিতে রাজি হয়নি দিল্লি ক্যাপিটালস। ফলে ঋষভ পন্থ হাতছাড়া হয়। দিল্লি ক্যাপিটালসের অন্যতম কর্ণধার পার্থ জিন্দল অবশ্য বলছেন, তিনি আগেই জানতেন পন্থ হাতছাড়া হবে।
আইপিএল রিটেনশনের কিছুদিন আগে হঠাৎই ঋষভ পন্থ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন, তিনি অকশনে উঠলে কত দর উঠতে পারে! ক্রিকেট প্রেমীরা ভেবেছিলেন, পন্থ মজা করছেন। দিল্লি ক্যাপিটালস রিটেনশন তালিকা প্রকাশ করতেই অবাক হওয়ার পালা। সত্যিই তাতে ছিল না পন্থের নাম। অকশনে পন্থ এবং শ্রেয়স আইয়ার প্রাথমিক টার্গেট ছিল, এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লির অন্যতম কর্ণধার। কী বলছেন তিনি?
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোতে এক সাক্ষাৎকারে পার্থ জিন্দাল বলেন, ‘পরিকল্পনার কাছে হার মেনেছে আবেগ। পন্থ কিংবা শ্রেয়সকে এত দামে কিনলে আমাদের পুরো পরিকল্পনাই ব্যর্থ হয়ে যেত। হয়তো জ্যাক ফ্রেজারকে ফেরাতে পারতাম না। এত ভালো মানের পেসারদেরও নিতে পারতাম না।’ ঋষভ পন্থের জন্য কতদূর যেতে রাজি ছিল দিল্লি? তাঁর কথায়, ‘আমরা ২২-২৩ কোটি অবধি যেতে পারতাম। এই অবধি পরিকল্পনায় ছিল। সত্যি বলতে, ঋষভকে রিটেন না করার সময়ই বুঝে গিয়েছিলাম, ও আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেল। ওকে যদি অকশনে আমরা ২১-২২ কোটিতে নিতে পারতাম, সেটা ফ্লুক হত। যে সময় রিটেন করিনি, নিশ্চিত ছিলাম।’
ঋষভ পন্থকে রাখতে কিংবা অকশনে ফেরাতে না পারা যে অনেকটাই হতাশার, তেমনই বলছেন পার্থ জিন্দাল। তবে ঋষভ পন্থও একইরকম ভাবে পরিস্থিতিটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন বলেই তিনি মনে করেন। পন্থকে না পাওয়া বিপর্যয় বলেও ব্যাখ্যা করেন পার্থ জিন্দাল।