ইসলামাবাদ: উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত, পাকিস্তান (India vs Pakistan)। ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালেও। এ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2022) আরও একবার ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সম্ভাবনা ছিল। দু-দেশের সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের মতো আশায় ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিডস্টার শোয়েব আখতারও (Shoaib Akhtar)। তা না হওয়ায় হতাশ এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। হতাশা এমন পর্যায়ে যে, ভারতের অধিনায়ক বদলের দাবি তুলে বসলেন। আর কী বলছেন প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার? তুলে ধরল TV9Bangla।
ক্রিকেট অঘটনের খেলা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আরও বেশি। সবটাই সম্ভব। পাকিস্তান একটা সময় গ্রুপ থেকে বিদায় নিতে বসেছিল। তারাই এখন ফাইনালে। আর একটা ম্যাচ জিতলেই বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরবেন বাবর আজমরা। অন্য দিকে, দুরন্ত শুরু করা ভারত সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। ইংল্যান্ডের কাছে বৃহস্পতিবার ১০ উইকেটে ল্যাজেগোবরে হয়েছে ভারত। রোহিত শর্মাদের ক্ষত আরও উস্কে দিলেন শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিডস্টার রীতিমতো বিদ্রুপ করেছেন ভারতীয় বোলারদের। সেই সঙ্গেই রোহিত শর্মার অবসর নেওয়া উচিত, এরূপ বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন শোয়েব। শুধু তাই নয় ভারতের দল নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মাঝেমধ্যেই বিস্ফোরক সব মন্তব্য করেন তিনি। তার জন্য পাল্টা বিদ্রুপের মুখেও পড়েন ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে। এবার ভারত প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, “ওদের ফাইনাল খেলার যোগ্যতাই নেই। অত্যন্ত খারাপ খেলেছে। ওরা হেরে যাওয়ারই যোগ্য। ওদের বোলিংয়ের দুর্দশা প্রকট হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের পরিবেশে দ্রুতগতির বোলার দরকার হয়। ভারতের এক জনও দ্রুত গতির বোলার নেই।’’ সেই সঙ্গে চাহালের মতো ক্রিকেটারকে কেন একটি ম্যাচেও খেলানো হল না সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ”ওদের দল নির্বাচন ভুলে ভরা।“ তাঁর আরও দাবি, ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনও আগ্রাসনই নাকি দেখেননি তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত-পাক দ্বৈরত দেখতে না পাওয়া শোয়েবকে হতাশ করেছে। তেমনই হতাশ করেছে রোহিত শর্মাও নেতৃত্বও। তাই তাঁর জোরাল দাবি, টি-টোয়েন্টিতে পাকাপাকি ভাবে অধিনায়ক পদ দেওয়া হোক হার্দিক পান্ডিয়াকে। আগামিকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখমুখি হতে চলেছে তাঁর দেশ। ২০০৯ সালের পর আর বিশ্বকাপ জেতেনি পাকিস্তান। তাই রবিবারের ম্যাচ নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহী এবং আশাবাদী শোয়েব।