বাংলাদেশ সিরিজের আগে নির্বাচকদের চিন্তা বাড়ালেন আকাশ দীপ! যদিও বলা ভালো সুস্থ মাথাব্যথা। ভারতীয় দলে জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সামি, মহম্মদ সিরাজের মতো তারকা পেসার রয়েছেন। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামিকে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। জসপ্রীত বুমরাকেও বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। সিরাজ শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার জন্য দলীপের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। ফলে তাঁকে বিনা ম্যাচ প্র্যাক্টিসেই লাল-বলের ক্রিকেটে নামিয়ে দেওয়া হবে কিনা, সন্দেহ রয়েছে। তরুণদের মধ্যে থেকেই বোলিং আক্রমণ বেছে নেওয়া হতে পারে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। প্রথম রাউন্ডে বেশ কয়েকজনই বল হাতে নজর কেড়েছেন। এর মধ্যে থেকে কাদের বেছে নেওয়া হবে, মাথাব্যথার বিষয় হয়ে দাঁড়াতেই পারে নির্বাচকদের।
প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে মরসুমের হিসেবে খুব বেশি সময় কাটাননি আকাশ দীপ। তবে বাংলার এই পেসার লাল-বলের ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্ম করে আসছেন। খেলেছেন ভারত এ দল, আইপিএলেও। অবশেষে ঘরের মাঠে গত ইংল্যান্ড সিরিজে টেস্ট অভিষেকও হয়। একটি ম্যাচই খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্কোয়াডে তাঁকে যেন অটোমেটিক চয়েস বলা যায়। বিশেষ করে দলীপের প্রথম রাউন্ডে তাঁর পারফরম্যান্স।
শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীনে ভারত এ দলে খেলছেন আকাশ দীপ। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। এর মধ্যে ঋষভ পন্থের উইকেটও ছিল। নীতীশ কুমার রেড্ডিকে আনপ্লেয়েবল ডেলিভারিতে বোল্ড করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৫ উইকেট! তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাটাররা আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করেছেন। আকাশ দীপও উইকেট টেকিং ডেলিভারির চেষ্টা করেছেন। রান দিলেও ডিফেন্সিভ হননি। প্রথম ইনিংসে ১৮১ করা মুশির খানকে খাতাই খুলতে দেননি আকাশ দীপ। প্রতিপক্ষ ক্যাপ্টেন তথা বাংলা দলের সতীর্থ অভিমন্যুর উইকেটও তাঁর ঝুলিতেই। দু-ইনিংস মিলিয়ে নয় উইকেট। এরপর কি আর তাঁকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুযোগ না দিয়ে পারা যাবে?