এমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে অনবদ্য বোলিং-ফিল্ডিং বাংলাদেশের। প্রবল চাপে থাকা ভারতীয় দলকে বড় স্কোরে পৌঁছতে সাহায্য করলেন অধিনায়ক যশ ধুল। প্রকৃত অর্থেই ক্যাপ্টেন্স ইনিংস খেললেন যশ। টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচে ব্যাট করেছিলেন যশ। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির ইনিংস। গত ম্যাচেও অনবদ্য ব্যাটিং। গ্রুপ পর্বে তাঁকে আউট করতে পারেনি প্রতিপক্ষ। সেমিফাইনালে কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তুলে শেষ ওভারে ফিরলেন ক্যাপ্টেন। টুর্নামেন্টে প্রথম বার আউট হলেন। তাঁর আউটের সঙ্গে ভারতের ইনিংসও শেষ। ফাইনালে পৌঁছতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২১২ রান। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর প্রতিবেদনে।
গ্রুপ পর্বে প্রথম তিন ম্যাচেই রান তাড়া করে জিতেছে ভারত। সেমিফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে হল। এমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতের মিডল ও লোয়ার অর্ডার কোনও পরীক্ষার সামনে পড়েনি ভারত। দুটি ম্যাচে ৮ উইকেট এবং এক ম্যাচে ৯ উইকেটে জিতেছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে হওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ। গত ম্যাচে শতরান করা সাই সুদর্শনকে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। বাড়তি বাউন্সে সমস্যায় পড়েন সাই। আর এক ওপেনার অভিষেক শর্মার সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন নীকীন জোস। তাঁর স্টাম্পিং নিয়েই বিতর্ক। তৃতীয় আম্পায়ার ফয়সল আফ্রিদি আউটের সিদ্ধান্ত দেন। ফের সিদ্ধান্ত বদল করেন।
অলরাউন্ডার নিশান্ত সিন্ধুকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন দেওয়া হয়েছিল। তা অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি। মাত্র ১১৮ রানেই ৫ উইকেট হারায় ভারত। রিয়ান পরাগও ব্যাট হাতে ব্যর্থ। শেষ দিকে অধিনায়ক যশ ধুলের সঙ্গে দুটি ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন মানব সুতার ও রাজবর্ধন হাঙ্গারকেকর। শেষ ওভারের প্রথম বলে স্ট্রেট বাউন্ডারিতে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট অধিনায়ক যশ ধুল। ৮৫ বলে ৬৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। মাত্র ২১১ রানের পুঁজি হলেও ভারতের বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে এই রান তোলা সহজ হবে না।