RCB vs CSK ভিডিয়ো: সেই ‘১ পারসেন্ট চান্স’ প্রমাণ করে বিরাটের চোখেও জল, উচ্ছ্বাসে মাতলেন চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেন

IPL 2024, RCB vs CSK: প্লে-অফের ভার্চুয়াল নকআউটে দলের সমর্থনে ছিলেন স্মৃতি মান্ধানা, শ্রেয়াঙ্কা পাটিলরা। তাঁরাও দেখলেন, খাদের কিনারায় থাকা দল কী ভাবে শেষ মুহূর্তে প্লে-অফে এন্ট্রি নিল। অনুষ্কা শর্মা, স্মৃতি মান্ধানা, শ্রেয়াঙ্কা পাটিলরা উচ্ছ্বাসে ভাসছেন স্ট্যান্ডে। মাঠে আবেগের সাগরে ডুবে বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসিরা। কিং কোহলির চোখে জল! এও আবার হয় নাকি।

RCB vs CSK ভিডিয়ো: সেই '১ পারসেন্ট চান্স' প্রমাণ করে বিরাটের চোখেও জল, উচ্ছ্বাসে মাতলেন চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেন
Image Credit source: BCCI
Follow Us:
| Updated on: May 19, 2024 | 2:36 AM

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ মরসুমের সেরা ম্যাচ! অবশ্যই। টুর্নামেন্টের ইতিহাসেও অন্যতম সেরা ম্যাচ। ট্রফি জেতার ম্যাচ ছিল না এটি। ছিল সেটব্যাক থেকে কামব্যাকের সফর। ব্যক্তিগত এবং দলগত। প্রথম আট ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জয়। এরপর টানা আধডজন জয়ে প্লে-অফে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ক’দিন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ভিডিয়ো খুব ঘুরছিল। সেটাই যেন করে দেখাল আরসিবি।

গত বছর উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের সময় আরসিবি ড্রেসিংরুমে স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষদের সঙ্গে কথা বলছেন বিরাট কোহলি। নানা কথার মাঝে একটা বিষয় সকলের মনে গেঁথে গিয়েছিল। ১ শতাংশ সুযোগও যদি থাকে, সেটাও অনেক। প্রথম আট ম্যাচের মধ্যে একটি মাত্র জয়ের পর আরসিবির প্লে-অফের সম্ভাবনাও সেই ১ পারসেন্টই ছিল। সেটাই যে অনেক, আরসিবি সেটা করে দেখাল। আর উচ্ছ্বাসে সামিল আরসিবির চ্যাম্পিয়ন টিমের ক্যাপ্টেনও।

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সংস্করণে হতাশার পারফরম্যান্স ছিল স্মৃতি মান্ধানাদের। দ্বিতীয় সংস্করণ অর্থাৎ এ বার বিরাট কোহলির সেই পেপটক কাজে লাগিয়েছেন স্মৃতিরা। আরসিবিকে প্রথম ট্রফি জয়ের স্বাদ দিয়েছেন। বিরাট কোহলি যেমন অন্য শহরের হলেও বেঙ্গালুরু তাঁর কাছে নিজের হয়ে গিয়েছে। বেঙ্গালুরু তাঁকে নিজের করে নিয়েছে। স্মৃতি মান্ধানার ক্ষেত্রেও তাই। স্মৃতিরা ট্রফি জেতায় দায়িত্ব বেড়েছিল বিরাটদের। কিন্তু যে ভাবে টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল তাতে ট্রফি দূর অস্ত, প্লে-অফই দায় হয়ে পড়েছিল।

প্লে-অফের ভার্চুয়াল নকআউটে দলের সমর্থনে ছিলেন স্মৃতি মান্ধানা, শ্রেয়াঙ্কা পাটিলরা। তাঁরাও দেখলেন, খাদের কিনারায় থাকা দল কী ভাবে শেষ মুহূর্তে প্লে-অফে এন্ট্রি নিল। অনুষ্কা শর্মা, স্মৃতি মান্ধানা, শ্রেয়াঙ্কা পাটিলরা উচ্ছ্বাসে ভাসছেন স্ট্যান্ডে। মাঠে আবেগের সাগরে ডুবে বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসিরা। কিং কোহলির চোখে জল! এও আবার হয় নাকি। কামব্যাকের পর এমন তো হয়ই। আরও একটা কামব্যাকের কথা যে বলা হল না!

আইপিএলের গত মরসুম মনে পড়ে? কেকেআর বনাম গুজরাট ম্যাচ? শেষ ওভারে যশ দয়ালের বোলিংয়ে টানা পাঁচ ছক্কা মেরে জিতিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। ভেঙে পড়েছিলেন যশ। তাঁকে রিটেইন করেনি গুজরাট টাইটান্স। নিলামে বেঙ্গালুরু তাঁকে নেওয়ায় অনেক প্রশ্নই উঠেছিল। রিঙ্কু সিং জানতেন, যশ ঠিক ঘুরে দাঁড়াবেই। সেই কামব্যাক হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।

প্লে-অফ নিশ্চিত করতে শেষ ওভারে ১৬ রান ডিফেন্ড করতে হত আরসিবিকে। বল হাতে যশ দয়াল। ক্রিজে মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রবীন্দ্র জাডেজা। প্রথম বলেই ছয় মারেন ধোনি। চেন্নাই সুপার কিংস যেন ধরেই নিয়েছিল, রিঙ্কু সিংয়ের মতোই ধোনিও নায়কের মতোই ফিনিশ করবেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশারকে পরের বলেই ফেরান যশ। তখনও দায়িত্ব ফুরোয়নি। ৪ বলে ১১ রান এমন কোনও বড় টার্গেট নয়। যশ দয়াল তা হতে দেননি। আরসিবিকে জিতিয়েছেন, ম্যাচে-রান রেটের নিরিখেও।