ম্যাঞ্চেস্টার : সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটের জয়। পরের ম্যাচেই ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হার। প্রথম ম্যাচে বড় জয়টাই কি আত্মতুষ্টির জায়গায় রেখেছিল ভারতকে? প্রশ্ন উঠতেই পারে। ওভালে প্রথম ম্যাচে অনবদ্য বোলিং করেছিলেন জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah), মহম্মদ সামি। লর্ডসেও ভারতীয় বোলিং ভাল হয়েছে। বিশেষত যুজবেন্দ্র চাহাল এবং হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। বেশ কিছু ক্যাচ মিস হয়। ২৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করার মতোই। কিন্তু ব্যাটিংয়ে অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), শিখর ধাওয়ান সহ টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হার। ম্যাঞ্চেস্টারে সিরিজের ‘ফাইনাল’। ভারতীয় শিবিরে যাদের দিকে নজর থাকবে…
রোহিত শর্মা : প্রথম ওডিআইতে অনবদ্য পারফর্ম করেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ বলে অবদান ০। ভারতীয় ব্যাটিংয়ে মূল সমস্যা তৈরি করেছে ইংল্যান্ডের দুই বাঁ হাতি পেসার। রিস টপলি একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। ছোট রানের লক্ষ্য হোক বা বড়, ওপেনিং জুটি রান না পেলে রাস্তা কঠিন হয়। লর্ডসে সেটাই হয়েছে।
শিখর ধাওয়ান : প্রথম ওডিআইতে তাঁর কাছে ঠিক যেমন প্রত্যাশা মতো ব্যাটিং করেছেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিতের মতো ব্যর্থ তিনিও। প্রথম ম্যাচে ইনিংস অ্যাঙ্কর করছিলেন। লর্ডসে লেগ সাইডে কট বিহাইন্ড হন ধাওয়ান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাঁর নেতৃত্বে ওডিআই সিরিজ খেলবে ভারত। ম্যাঞ্চেস্টারে রান পেলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ক্যারিবিয়ানে পাড়ি দিতে পারবেন শিখর ধাওয়ান।
বিরাট কোহলি : বিশ্ব ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এখন বিরাট কোহলির ছন্দ। তিনি নিজেও ব্যপক চাপে। প্রাক্তন-বর্তমান অনেক ক্রিকেটারের সমালোচনা। দেশ-বিদেশের অনেকে তাঁর পাশেও দাঁড়াচ্ছেন। বিরাট কোহলির প্রত্যাবর্তন দেখতে মুখিয়ে ক্রিকেট বিশ্ব। প্রথম ম্যাচে কুঁচকির চোটে খেলেননি। লর্ডসে নেটে যেমন ব্যাট করছিলেন, ম্যাচেও শুরুটা তেমনই হয়। যদিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তাঁর ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিশ্রামে বিরাট। তার আগে ছন্দে ফেরা এবং সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার আরও একটা সুযোগ বিরাটের সামনে।
জসপ্রীত বুমরা : ওভালে ভারতের বড় জয়ের কারিগর ছিলেন জসপ্রীত বুমরা। লর্ডসে ভাল বোলিং করলেও প্রথম ম্যাচের মতো শুরুর ধাক্কা দিতে পারেননি। নিজের বোলিংয়ে একটি ক্যাচও মিস হয়েছে। একদিনের ক্রিকেটে বিশ্বের এক নম্বর বোলার বুমরার কাছে আরও বেশি প্রত্যাশা থাকবে ম্যাঞ্চেস্টারে।
হার্দিক পান্ডিয়া : এখনও অবধি ব্যাটে বলে ভরসা দিচ্ছেন হার্দিক। লর্ডসে তিনি আরও কিছুটা সময় ক্রিজে থাকলে, জাডেজার সঙ্গে জুটি বড় হলে, হয়তো হারের ব্যবধান কমাতে পারতেন। ফিনিশারের ভূমিকায় পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে পারেন কি না, নজর থাকবে শেষ ওডিআইতে। লর্ডসে উইকেট পাওয়া এবং কিছুটা রান করার আত্মবিশ্বাস নিয়েই শেষ ম্যাচে নামবেন হার্দিক।