Bus Driver : ১১’র বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন, ভাগ্যের ফেরে ধোনির সতীর্থ এখন বাস ড্রাইভার!

TV9 Bangla Digital | Edited By: তিথিমালা মাজী

Jun 23, 2023 | 10:00 AM

Suraj Randiv : দেশ-বিদেশের ক্রিকেটারদের অধিকাংশকেই অবসরের পর পেশা হিসেবে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত কাজকর্ম বেছে নেন। কেউ কোচিং, কেউ ধারাভাষ্যকার, কেউ ইউটিউব মারফত আয়ের পথ খুঁজে নিয়েছেন।

Bus Driver : ১১র বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন, ভাগ্যের ফেরে ধোনির সতীর্থ এখন বাস ড্রাইভার!
Image Credit source: Twitter

Follow Us

কলকাতা: আজ যে রাজা, কাল সে ফকির। জীবনে এমন পরিস্থিতি আসতেই পারে। কে, কখন, কোন পরিস্থিতির মধ্যে পড়বেন তা কারও জানা নেই। নয়তো ২০১১ ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা, আইপিএলে ধোনির (MS Dhoni) সতীর্থ এক ক্রিকেটারকে রুটি রুজির জন্য বাস চালাতে হয়? দেশ-বিদেশের ক্রিকেটারদের অধিকাংশকেই অবসরের পর পেশা হিসেবে ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত কাজকর্ম বেছে নেন। কেউ কোচিং, কেউ ধারাভাষ্যকার, কেউ ইউটিউব মারফত আয়ের পথ খুঁজে নিয়েছেন। এছাড়া প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ক্রিকেট প্রশাসন বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নজিরও রয়েছে। কোনওদিন শুনেছেন, অবসরের পর রাস্তাঘাটে সরকারি বাস চালাচ্ছেন কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটার? অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। জাতীয় দলে খেলা এক প্রাক্তন ক্রিকেটার ২২ গজকে বিদায় জানিয়ে হাতে তুলে নিয়েছেন বাসের স্টিয়ারিং। বিস্তারিত রইল Tv9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।

তাঁর নাম হল সুরজ রণদীপ। শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরজ। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার হয়ে অভিষেক হয় রণদীপের। স্পিন লেজেন্ড মুথাইয়া মুরালিধরণের পরিবর্তে দলে জায়গা পেয়েছিলেন। ২০১০ সালে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট ফরম্যাটে ডেবিউ হয় ডান হাতি অফস্পিনার সুরজের।  এরপর সাতবছর ধরে তিন ফরম্যাটে লঙ্কা টিমের হয়ে খেলেছেন। ২০১১ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার প্রথম একাদশে ছিলেন সুরজ। কেরিয়ারে ১২টি টেস্ট ৩১টি ওডিআই ও ৭টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। ৪৩টি টেস্ট, ৩৬টি ওডিআই এবং ৭টি টি-২০ উইকেট রয়েছে সুরজের নামের পাশে। এছাড়া মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে সিএসকে-র হয়ে খেলেছেন একটি মরসুম। ২০১৬ সালে ২২ গজকে বিদায় জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দেন সুরজ রণদীপ। নতুন কাজের আশায়।

কিন্তু কাজ চাইলেই কি পাওয়া যায়! ড্রাইভিং জানতেন ভালো। তাই সুরজ শেষমেশ বাস চালক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। শুধু সুরজই নন এই তালিকায় রয়েছেন সতীর্থ চিন্তাকা জয়সিংহে এবং জিম্বাবোয়ের ওয়েডিংটন মাওয়েঙ্গা। তিনজনই মেলবোর্নের ‘ট্রান্সদেব’ কোম্পানির হয়ে কাজ করেন। তবে ক্রিকেট তাঁদের জীবন থেকে চলে যায়নি। ক্লাব ক্রিকেটে খেলেন নিয়মিত। তা সত্ত্বেও অন্ন সংস্থানের জন্য বাস ড্রাইভারের কাজ বেছে নিতে হয়েছে।

Next Article