নয়াদিল্লি: বিরাট কোহলির পর কি নিশানায় মহেন্দ্র সিং ধোনি? ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার বরাবরই ঠোঁটকাটা। ওপেনার হিসেবে যেমন আগ্রাসী ছিলেন, তেমনই কথাতেও। তুলোধনা থেকে প্রশংসা, যা করেন সবেতেই রাখঢাক রাখেন না। সেই গৌতম গম্ভীরের ‘টার্গেট’ কি এখন ধোনি, এই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। সম্প্রতি শান্তাকুমারন শ্রীসন্থের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন লেজেন্ড লিগ ক্রিকেট খেলার সময়। তার রেশ এখনও চলছে। এরই মধ্যে আবার বিস্ফোরক গম্ভীর। এমন কিছু বলে বসলেন, যা শুনলে মনে হবে তাঁর নিশানায় এখন মাহি।
এএনআই পডকাস্টে গম্ভীরকে প্রশ্ন করা হয়, ২০১১ সালের বিশ্বকাপে যুবরাজ সিং দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন। ম্যান অফ টুর্নামেন্টও হয়েছিলেন। কিন্তু যুবির সেই অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ক্রিকেট সমর্থকরা যতটা ধোনিকে দেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ৩৬২ রান করার পাশাপাশি ১৫টা উইকেট নিয়েছিলেন যুবি। গম্ভীর বলেছেন, ‘আচ্ছা বলুন তো, যে ছেলেটা ২০১১ সালের বিশ্বকাপে সেরা ক্রিকেটার হল, তাকে নিয়ে কতজন কথা বলে? তার কারণ কি এই যে, ওর জনসংযোগ তেমন ভালো নয়?’ বেশ বিস্ফোরক কথা। ধোনি যতটা গুরুত্ব পেয়েছেন ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতার পর, তাঁর টিমের কেউই তা পাননি। সচিনকে বাদ দিয়ে বলা যায়, বীরেন্দ্র সেওয়াগ থেকে গৌতম গম্ভীর— সবাই থেকে গিয়েছেন প্রচারের আলোর বাইরে। যত আলো গিয়ে পড়েছে ধোনির উপর।
এমনকি, ধোনির নট আউট ৯১ নিয়ে যতটা আলোচনা হয়, গম্ভীরের ৯৭ নিয়ে হয় না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন এল, ধোনির ইনিংসে চাপা পড়ে গিয়েছে আপনার লড়াকু ৯৭? গম্ভীর বলে দিয়েছেন, ‘কিছু মানুষ বলেন, আমার ওই ইনিংসটা তেমন গুরুত্ব পায়নি। সেই মানুষজনই কিন্তু ওই ইনিংসটাকে গুরুত্ব দেয়নি, প্রশংসা করেনি। এই পৃথিবীতে কোনও কিছুই গুরুত্বহীন হয় না।’
ধোনিকে আকাশে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে কি টুর্নামেন্ট সম্প্রচারকারী চ্যানেলের দায় থেকে যায়? গম্ভীর নিজেই দোষী সাবস্ত করেছেন। কারও নাম না করে বলেছেন, ‘কোনও চ্যানেল কোনও একজনের ক্ষেত্রে জনসংযোগের কাজ করতে পারে না। ড্রেসিংরুমে যারা বসে আছে, তাদের সবার ক্ষেত্রে ব্রডকাস্টারকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। যদি আমার কাছে সুযোগ থাকে, আর আমি দু’জনকে বাছি তিন ঘণ্টার ম্যাচে তুলে ধরব বলে। একজনকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিট সময় দিলাম। আর একজনকে দিলাম মাত্র ১০ মিনিট, খুব স্বাভাবিক ভাবেই যাকে বেশি সময় দেওয়া হল, সে ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে।’