মুম্বই : গুজরাট জায়ান্টস ইনিংসে সোফিয়া ডাঙ্কলি, আরসিবিতে সোফি ডিভাইন। দুটি অনবদ্য় ইনিংস। জিতল প্রথম জনের দল গুজরাট জায়ান্টস। প্রথম দু-ম্য়াচে হেরেছিল গুজরাট জায়ান্টস, রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর দু-দলই। টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের খোঁজে মরিয়া ছিল দু-দলই। হারের হ্য়াটট্রিক স্মৃতি মান্ধানার নেতৃত্বাধীন রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের। দুটি হারের পর অবশেষে জয়ের স্বাদ পেল গুজরাট জায়ান্টস। পার্থক্য় গড়ে দিল বাউন্ডারি মারার দক্ষতা। গুজরাটের হয়ে অনবদ্য দুটি ইনিংস সোফিয়া ডাঙ্কলি ও হরলীন দেওলের। যার ফলে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্সকে ২০২ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় তারা। আরসিবির হয়ে সোফি ডিভাইন ৪৫ বলে ৬৫ রান করেন। শেষ ৬ ওভারে ৮৫ রান প্রয়োজন ছিল আরসিবির। অনেকটা কাছে গিয়েও ১১ রানে হার। গুজরাট জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট জায়ান্টস অধিনায়ক স্নেহ রানা। ফ্রেশ পিচে খেলা। ব্য়াটিং সহায়ক পিচ। ব্য়াটাররা ভুল না করলে আউট করা কঠিন। এমন পিচে মেগান শুটের প্রথম ওভার মেডেন। দ্বিতীয় ওভার থেকেই গিয়ার বদল গুজরাট জায়ান্টসের। সাব্বিনেনি মেঘনা বড় ইনিংস খেলতে ব্য়র্থ। তবে গুজরাটকে বড় রানের ভিত গড়ে দেন আর এক ওপেনার সোফিয়া ডাঙ্কলি। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে দ্রুততম অর্ধশতরান করেন সোফিয়া। হরলীনের সঙ্গে জুটিতে ৩০ বলে ৬০ রান যোগ করেন। এই জুটি ৮০ শতাংশ রান সোফিয়ার ব্য়াটেই। শেষ অবধি ২৮ বলে ৬৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ফেরেন সোফিয়া। গুজরাট ইনিংসে রানের গতি ধরে রাখেন হরলীন দেওল। ৪৫ বলে ৬৭ রানের অবদান তাঁর। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০১ রান করে গুজরাট জায়ান্টস।
পিচ যেমনই হোক ২০০-র বেশি রান তাড়া করা সহজ নয়। তবে রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের শুরুটা ভালো হয়। স্মৃতি মান্ধানা অবশ্য সেট হয়েও বড় রান করতে ব্য়র্থ। টানা তিন ম্য়াচে এমনটা হল। নেতৃত্বের বাড়তি চাপ হয়তো তাঁর ব্য়াটিংয়ে প্রভাব ফেলছে। উল্টোদিকে সোফি ডিভাইন দারুণ ব্য়াটিং করেন। স্মৃতি-সোফির ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৩২ বলে ৫৪ রান। দ্বিতীয় উইকেটে এলিস পেরির সঙ্গে ৩৯ বলে ৪৩ রান যোগ করেন সোফি। এলিস পেরি ২৫ বলে ৩২ রানে ফেরেন। সোফি ডিভাইনের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন রিচা ঘোষ। তাঁর ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১০ বলে ১০ রানে ফেরেন রিচা। আস্কিং রেটের চাপ বাড়তে থাকে আরসিবির। শেষ ওভারে লক্ষ্য় দাঁড়ায় ২৪ রান। হেদার নাইট, শ্রেয়াঙ্কা পাটিল মরিয়া চেষ্টা করলেও আরসিবি এই লক্ষ্য পেরোতে ব্য়র্থ।