TV9 বাংলা ডিজিটাল – চোটের জন্য ইশান্ত শর্মার না থাকা কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে। যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সামির মতো অভিজ্ঞ পেসাররা সেই অভাবটা ঢেকে দিতে পারবেন, আশা ভাইস ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানের (Rahane)।
বৃহস্পতিবার অ্যাডিলেডে দিন-রাতের টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে সফরের প্রথম টেস্ট। গোলাপি বলের বিরুদ্ধে নেমে পড়ার আগে রাহানে বলছেন, ‘ইশান্তের মতো সিনিয়র পেসারের চোটের জন্য টিমে থাকার প্রভাব কিছুটা তো পড়বেই। কিন্তু বুমরা, সামি, উমেশ, সাইনির মতো পেসাররা আছে। ওরা যেমন অভিজ্ঞ, তেমনই জানে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে কীভাবে বল করতে হয়। গোলাপি বলে শুরু থেকেই ছন্দ খুঁজে পাওয়াটাই আসল। আমাদের বোলিং আক্রমণের ২০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আছে।’
??”We have the bowling attack to take 20 wickets” – @ajinkyarahane88 #TeamIndia #AUSvIND
What do you guys make of the team’s current bowling attack? ?? pic.twitter.com/Xmg9hdC7i0
— BCCI (@BCCI) December 15, 2020
টিম কম্বিনেশন নিয়েই বরং বেশি চিন্তায় বিরাট কোহলির ভারত। ওপেনার হিসেবে মায়াঙ্ক আগরওয়াল খেলবেন। তাঁর সঙ্গী কে হবেন? পৃথ্বী শ, শুবমান গিল, লোকেশ রাহুলের মধ্যে কাকে খেলানো হবে, তা কিছুটা হলেও ধন্দে। একই রকম ভাবে ঋদ্ধিমান সাহা নাকি ঋষভ পন্থ, কে খেলবেন প্রথম টেস্ট, তা নিয়েও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভার্চুয়াল প্রেস মিটে রাহানে স্পষ্ট বলছেন, ‘টিম কম্বিনেশন কী হবে, আমরা এখনও ঠিক করিনি। আর একটা প্র্যাক্টিস সেশন আছে। তার পর এ নিয়ে আমরা আলোচনা করব। একটা কথা বলতে পারি, যেই খেলুক না কেন, প্রত্যেকেই একই রকম প্রতিভাবান। যেই খেলুক না কেন, তার ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা আছে। আমাদের সবার উপরেই ভরসা আছে।’
আরও পড়ুন – ২০২২ মহিলা বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ, ৬ মার্চ নামছে ভারত
প্রথম টেস্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো সিনিয়র স্পিনার-অলরাউন্ডারকে কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়েও পরিষ্কার করে কিছু বলেননি রাহানে। তাঁর কথায়, ‘টিমে অশ্বিনের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ও কতটা অভিজ্ঞ বোলার, আমরা সবাই জানি। বোলার ও ব্যাটসম্যান হিসেবে ও ভীষণ কার্যকর।’
গোলাপি বল (pink ball) শুরুর দিকে কিছুটা মুভ করে। আবার সন্ধেয় গোলাপি বল সামলানো কঠিন হয়ে যায়। ওই দুটো সেশনে সতর্ক থাকতে চাইছেন রাহানেরা। ‘ম্যাচের শুরুর দিকে গোলাপি বল কিছুটা মুভ করে। তার পর ব্যাট করা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু ফ্লাডলাইট (floodlight) জ্বলার পর প্রথম ৪০-৫০ মিনিট ব্যাট করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। ওই সময়টা বেশি করে ফোকাস করতে হয়। কারণ বলের গতি বেড়ে যায় তখন। মানিয়ে নিতে সময় লাগে।’