নয়াদিল্লি: বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে আরও ব্য়াকফুটে অস্ট্রেলিয়া। নাগপুর এবং দিল্লি টেস্টে হেরে এমনিতেই প্রবল চাপে তারা। নতুন করে চাপ তৈরি হয়েছে ব্য়ক্তিগত কারণে অধিনায়ক প্য়াট কামিন্স দেশে ফিরে যাওয়ায়। অস্বস্তির এখানেই শেষ নয়। চোটে পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে গেলেন জশ হ্য়াজলউড। গুরুতর চোটের তালিকায় রয়েছে আরও অনেক নাম। নাগপুরে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ১৩২ রানের বিশাল ব্য়বধানে হার অস্ট্রেলিয়ার। দিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্টে ৪ উইকেটে হেরেছে অজিরা। ইন্দোরে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে আগামী ১ মার্চ থেকে। হ্য়াজলউড এবং মিচেল স্টার্ক ভারত সফরে এলেও চোটে প্রথম দু-ম্যাচে খেলতে পারেননি। হ্যাজলউড এ বার পুরোপুরিই ছিটকে গেলেন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
দিল্লি টেস্টে চোট পেয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে ম্য়াচের বাকি সময়ে ছিলেন ম্য়াট রেনশ। সিরিজের শুরু থেকেই অজি শিবিরে চোটের তালিকায় ছিলেন হ্য়াজলউড, মিচেল স্টার্ক, ক্য়ামেরন গ্রিন। দিল্লি টেস্টের আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন মিচেল সোয়েপসন। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে তড়িঘড়ি উড়িয়ে আনা হয় বাঁ হাতি স্পিনার ম্য়াট কুহনেম্যানকে। দিল্লি টেস্টে অভিষেকও হয়েছে ম্য়াটের। অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্য়াকডোনাল্ড নিশ্চিত করেছেন, হ্য়াজলউড দেশে ফিরে যাচ্ছেন। চিন্তা বাড়ছে ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়েও। ইন্দোর টেস্টে ওয়ার্নার খেলতে না পারলে ওপেন করতে পারেন ট্রাভিস হেড।
অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ ম্যাকডোনাল্ড আরও বলেছেন, ‘ওয়ার্নারের চোট এখনও রয়েছে। ওকে নিয়ে আমরা কোনও তাড়াহুড়ো করতে চাই না। দ্বিতীয় টেস্টের আগে অনেকটাই সময় রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ দিল্লি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেন করেন হেড। ইন্দোরে ওয়ার্নারের সেরা বিকল্প তিনিই। চোট থাকা আরও দুই ক্রিকেটার বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক এনং পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে ইন্দোর টেস্টে পাওয়া যাবে, এমনটাই মনে করছে অস্ট্রেলিয়া শিবির। প্রথম দুই টেস্টেই খেলেননি স্টার্ক কিংবা গ্রিন। দ্বিতীয় জন ফিরলে অস্ট্রেলিয়ার ব্য়াটিং গভীরতাও বাড়বে।