অস্ট্রেলিয়া সফরের আগের চিত্রটা যতটা অস্বস্তির ছিল, পারথ টেস্টের পর তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি স্বস্তির। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে লজ্জার ক্লিনসুইপ। পারথে নিয়মিত ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মার অনুপস্থিতি। চোটের জন্য শুভমন গিলকে না পাওয়া। বিরাট কোহলির ফর্মে না থাকা। সব মিলিয়ে অস্বস্তির পরিস্থিতিতে ছিল ভারতীয় শিবির। পারথের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানেই অলআউট হয়েছিল ভারত। সেখান থেকে ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে ঐতিহাসিক জয়। এই কামব্যাক সম্ভব হয়েছে মূলত বোলারদের জন্যই। বুমরার পাশাপাশি অবদান রেখেছেন তরুণ পেসাররা। তেমনই একজন হর্ষিত রানা। সদ্য এক টেস্ট খেলা হর্ষিতকে নিয়ে তাঁর কোচ মনে করছেন, এই ফরম্যাটে ওর অন্তত ৮০ টেস্ট খেলা উচিত।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছিলেন হর্ষিত রানা। গত মরসুমে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে কেকেআর। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মেন্টর গৌতম গম্ভীরের মন জয় করেছিলেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই জাতীয় দলে ডাক পান। শুরুতে টি-টোয়েন্টি, পরে ওয়ান ডে। যদিও খেলার সুযোগ হয়নি। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে সুযোগ পেতেই মনে করা হয়েছিল, টেস্ট ক্রিকেট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হতে চলেছে। পারথ টেস্টে নীতীশ রেড্ডির সঙ্গে টেস্ট অভিষেক হয়েছে হর্ষিতেরও। তাঁর সেরা উইকেট বলা যেতে পারে ট্রাভিস হেডকে ফেরানো।
ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর তাঁকে লম্বা রেসের ঘোড়া মনে করেন। হর্ষিতের ছেলেবেলার কোচ এনএস নেগী মনে করছেন, সব ফরম্যাটেই সাফল্য পাবে হর্ষিত। শুধু তাই নয়, সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলছেন, ‘হর্ষিত প্রতিভাবান বোলার। রঞ্জি ট্রফিতেও গত দু-মরসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। গত বছর আমি দিল্লি রঞ্জি টিমের ফিল্ডিং কোচ ছিলাম। সে সময়ই ওর অভিষেক। দুর্দান্ত বোলিং করেছিল। এটা সবে শুরু। ও এরকম বোলার, যাঁর অন্তত ৭০-৮০টা টেস্ট খেলা উচিত। আমার তো মনে হয়, দেশের জার্সিতে তিন ফরম্যাটেই ও ধারাবাহিক খেলবে।’