সিডনিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের যবনিকা পতন। এখনও অবধি যা পরিস্থিতি, রবিবার অর্থাৎ ম্যাচের তৃতীয় দিনই ফয়সালা হয়ে যাবে। তবে কোন দল জিতবে, নিশ্চিত বলা কঠিন। এখনও অবধি এই ম্যাচ ভারসাম্যে রয়েছে। যে কোনও দলই জিততে পারে। এমন বলারও নানা কারণ রয়েছে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ১৫টি উইকেট পড়েছে। তেমনই ৩১৩ রানও উঠেছে। দু-দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ঋষভ পন্থের বিধ্বংসী ইনিংস। সেটা না হলে ভারত ব্যাকফুটেই থাকত। এখনও ফ্রন্টফুটে রয়েছে বলা যায় না। তবে ওই যে ব্যালান্স।
প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ১৮৫ রান করেছিল। জবাবে অস্ট্রেলিয়াকে ১৮১ রানেই অলআউট করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ইতিমধ্যেই ১৪১ রান তুলে নিয়েছে। সব মিলিয়ে লিড ১৪৫। ক্রিজে এখনও জাডেজা ও ওয়াশিংটন জুটি। ফলে এখান থেকে লিড ২০০ পেরিয়ে যাওয়া অসম্ভব নয়। আর সেটা করতে পারলে ভারতের ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, ২০০ প্লাস তাড়া করে জিততে হলে অস্ট্রেলিয়াকে নতুন কীর্তি গড়তে হবে। ভারতের ক্ষেত্রে একটা নেতিবাচক দিক, জসপ্রীত বুমরা ধোঁয়াশা। তাঁর চোটের স্ক্যান হয়েছে। সেটা কতটা গুরুতর, বুমরা যদি বোলিং করতে পারেন ২০০ রানও যথেষ্ট হতে পারে।
এত আত্মবিশ্বাসী হয়ে কেন বলা যাচ্ছে? সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পরিসংখ্যান এমনই। ২০০০ সালের পর থেকে এই মাঠে মাত্র একবারই ২০০-র বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে। সেই ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ২৮৭ টার্গেট তাড়া করে জিতেছিল। এই শতকে সেটাই সর্বাধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড সিডনিতে।
সিডনিতে এই শতকে আরও একটি যে স্কোর তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে, তা হল ২০০১ সালে ১৭৩ তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এর বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গত শতাব্দীতে। সে কারণেই বলা হচ্ছে ভারত ২০০ প্লাস স্কোর করলে জয়ের ব্যাপক সম্ভাবনা। বুমরার ফিটনেসও কিন্তু বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।