আমেদাবাদ: বিশ্বকাপ অবধিই ভারতের সিনিয়র দলের কোচ হিসেবে চুক্তি ছিল রাহুল দ্রাবিড়ের। বিশ্বকাপে ভারত যে ভাবে পারফর্ম করেছে, তাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ারই প্রত্যাশা ছিল। সঙ্গে ভাবা হয়েছিল, রাহুল দ্রাবিড়কে হয়তো চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে বোর্ড। হয়তো দ্রাবিড়ও দায়িত্বে থেকে যাবেন। টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনাল। তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না। এরই সঙ্গে রাহুল দ্রাবিড়ের ভবিষ্যৎ নিয়েও ধোঁয়াশা। বোর্ড প্রস্তাব দিলে তিনি কি দায়িত্বে থাকবেন? পরিষ্কার নয়। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স এবং পরবর্তী ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ২০২৭ সালে। ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানালেন দ্রাবিড়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন দ্রাবিড়ই। কোনও রাখঢাক করেননি। দায়িত্বে থাকবেন কিনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি কিছুই ভাবিনি। এই তো ম্যাচ শেষ হল। সত্যি বলতে, এটা নিয়ে ভাবার সময়ই পাইনি। যখন সময় পাব তখন ভাবব। বিশ্বকাপ এবং ফাইনাল ছাড়া আর কিছু নিয়ে ভাবার সময় পাইনি। এর বাইরে কিছুই মাথায় ছিল না।’ তাঁর সঙ্গে দু-বছরের চুক্তি ছিল। সরকারি ভাবে সেটা শেষ হল। দ্রাবিড় যোগ করলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি এমন ব্যক্তি নই যে নিজেকে বিচার কিংবা বিশ্লেষণ করবে। আমি আমার কাজে গর্বিত। গত দু-বছর যে প্লেয়ারদের সঙ্গে কাজ করেছি, এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
দূর ভবিষ্যৎ না হয় বাদই থাকল। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তো এক বছর বাকি। সেটা নিয়েও কোনও মন্তব্যে নারাজ দ্রাবিড়। বলছেন, ‘আমি কিছুই ভাবিনি। আমাদের সকলেরই ভাবনায় ছিল এই টুর্নামেন্ট এবং ফাইনাল। সমস্ত শক্তি বাঁচিয়ে রেখেছিলাম। পুরো ফোকাস এই টুর্নামেন্টেই রেখেছি। বাকি কোনও পরিকল্পনা করিনি। ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনওরকম পরিকল্পনার কথা ভাবনায়ও আসেনি।’
ভারতের সোনালী মুহূর্তের কিছু প্লেয়ার কি একটা বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ হাতছাড়া করলেন? কেন না ২০২৭ বিশ্বকাপে এই টিমের অনেক তারকাকেই হয়তো খেলতে দেখা যাবে না। হাসি মুখেই দ্রাবিড় বলছেন, ‘পরবর্তী বিশ্বকাপ নিয়েও কিছু ভাবিনি। কে থাকবে, কে যাবে সেটাও জানি না। তার আগে প্রচুর সময় রয়েছে। নদীতে অনেক জল বয়ে যাবে। এগুলো ভাবার সময় আসেনি।’